সর্দি-কাশি ও ফ্লু এবং গলা ব্যথা।
সর্দি-কাশি ও ফ্লু এবং গলা ব্যথা।
এসব রোগের চিকিৎসার জন্য সাধারণত ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না।
লিখেছেন শ্রেয়শী সাহা
মেডিকেল রিভিউ করেছেন ডা. বাবলু হোসেন
চিকিৎসা:-
সারাবছর জুড়েই সর্দি-কাশি ও ফ্লু এর সমস্যা হলেও ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে সাথে বিশেষত শীত ও বসন্ত কালে সমস্যাগুলো বেড়ে যায়।
এসব রোগের চিকিৎসার জন্য সাধারণত ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। কিছু উপদেশ মেনে চললে ঘরে বসেই প্রতিকার করা যায়।
লক্ষণ ও পার্থক্য
চিকিৎসা
যখন ডাক্তার দেখাবেন
প্রতিরোধ জটিলতা
ফ্লু ও সর্দি-কাশি বা ঠান্ডার লক্ষণ
ফ্লু ও সাধারণ সর্দি-কাশির লক্ষণ প্রায় একই রকম। তবে সাধারণ সর্দি-কাশির তুলনায় ফ্লু এর লক্ষণগুলোর তীব্রতা বেশি এবং সেরে উঠতেও বেশি সময় লাগে । শিশুদের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো বড়দের তুলনায় বেশিদিন ধরে থাকতে পারে।
কীভাবে বুঝবেন আপনার ফ্লু হয়েছে? না কি সর্দি-কাশি?
এ ছাড়া ফ্লুতে শিশুদের ক্ষেত্রে জ্বরের পাশাপাশি ডায়রিয়া ও বমির সমস্যা বেশি দেখা যায়। সেই সাথে শিশুর কান ব্যথা হতে পারে এবং চঞ্চলতা কমে যেতে পারে।
ফ্লু ও সাধারণ সর্দি-কাশির চিকিৎসা
কারণ ও লক্ষণে পার্থক্য থাকলেও ফ্লু ও সাধারণ সর্দি-কাশির চিকিৎসা প্রায় কাছাকাছি।
দ্রুত সর্দি-কাশি ও ফ্লু সারাতে প্রাথমিকভাবে নিচের পরামর্শগুলো মেনে চলুন,
বিশ্রাম নিন ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান
শরীর উষ্ণ রাখুন
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। পানির পাশাপাশি তরল খাবারও উপকারী। যেমন: ফলের জুস, চিড়া পানি, ডাবের পানি, স্যুপ, ইত্যাদি। পানিশূন্যতা এড়াতে এমন পরিমাণে তরল খাওয়া উচিত যেন প্রস্রাবের রঙ স্বচ্ছ অথবা হালকা হলুদ হয়
গলা ব্যথা উপশমের জন্য লবণ মিশিয়ে কুসুম গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করুন। তবে ছোটো শিশুরা ঠিকমতো গড়গড়া করতে পারে না বলে তাদের ক্ষেত্রে এই পরামর্শ প্রযোজ্য নয়
কাশি উপশমের জন্য মধু খেতে পারেন। ১ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য এই পরামর্শ প্রযোজ্য নয়
অনেকে ধারণা করেন যে ভিটামিন সি, রসুন ও একানেশিয়া নামের হারবাল ঔষধ সর্দি-কাশি প্রতিরোধে কিংবা সর্দি-কাশি থেকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে। তবে এই ধারণার পক্ষে তেমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ফ্লু ও সর্দি কাশির ঔষধ :-
সাধারণ সর্দি-কাশি সাধারণত কোনো ঔষধ ছাড়াই ৭–৯ দিনের মধ্যে সেরে যায়। ফ্লু-ও সাধারণত দুই সপ্তাহের মধ্যে আপনা-আপনি ঠিক হয়ে যায়। তবে লক্ষণ উপশমে কিছু ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন:-
প্যারাসিটামল: জ্বর ও ব্যথার জন্য প্যারাসিটামল সেবন করতে পারেন। তবে প্যারাসিটামল সেবন চলাকালে অন্য কোনো ব্যথার ঔষধ, কফ সিরাপ সেবনের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এসবের অনেকগুলোতে প্যারাসিটামল থাকে।
গলা ব্যাথার কারন ও প্রতিকার:-
গলা ব্যাথার কারণ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।
তবে শীতকালীন সময়ে এটি সর্দি কাশি নির্দেশ করে। এটি সাধারণত ৩-৭ দিন পর্যন্ত হয়ে থাকে।
তবে কিছু ঘরোয়া প্রাথমিক চিকিৎসায় এটি ভালো হয়ে যেতে পারে।
গলা ব্যথার ওষুধ ও ঘরোয়া প্রতিকার :-
গলা ব্যথায় সাধারণত নাপা জাতীয় ওষুধ সেবন করা হয়। তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে সকাল এবং রাতে খাবারের পরে লবণ পানি গরম করে কুলি করলে তিন দিনে এটি ভালো হয়ে যায়। তুলসি পাতা একটি খুবই উপকারী ঔষধি পাতা।তুলসি পাতা গুনাগুন বলে শেষ হবে না। আমাদের বাড়ি উঠানের এখানে বাতাস চলাচল করে সেখানে লাগিয়ে রাখতে পারেন উপকারী তুলসী। শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক এবং বৃদ্ধ মানুষদের প্রতিদিন একটি করে তুলসী পাতা চিবিয়ে খাওয়া দরকার। এটি আমাদের দেহের নানান ধরনের রোগ নিয়ামকের কাজ করে।ঠান্ডা সময় সর্দি-কাশি জন্য ভালো। সর্দি কাশি হলে তুলসি পাতা রস সাথে এক চামুচ মধুর সাথে মিশে খেয়ে সর্দি কাশি ভালো হবে।যদি বুকে কফ হয় তাহলে তুলসী পাতার রস সাথে পানি গরম করে কুলি করলে ভালো হবে।৷ জ্বর হলে।
গলা ব্যথা দূর করে।
গলা ব্যথায় ভুগলে আস্থা রাখো তুলসী পাতার উপর। কারণ এই সমস্যা দূরীকরণে তুলসী পাতার জুড়ি নেই।এছাড়াও শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করার জন্য তুলসী পাতা বেশ উপকারী। করোনা মহামারী সময় তুলসী পাতা প্রতিদিন খাওয়ার নিয়ম উচিত। কয়েকটি তুলসী পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে কল গার্গল করলে গলা ব্যথা ভাল হয়ে যায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ :-
ক্যান্সার এক মরণঘাতি অসুখের নাম। এই অসুখ দূর দূরে রাখার জন্য তুলসী পাতা কোনো তুলনা নাই।এই পাতায় রয়েছে রেডিওপ্রটেকটিভ উপাদান যা টিউমারকে মেরে ফেলে। এতে আরো রয়েছে ফাইটোকেমিক্যাল যেমন এপিজেনিন,লিউটিউলিন ও মাইরেটিনাল। তুলসী পাতায় অবস্থিত এসব উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। এছাড়া অগ্নাশয়ে টিউমার দেখা যায় দূরীকরণ তুলসী পাতা দারুন উপকারি।
ক্যান্সার এক মরণঘাতি অসুখের নাম। এই অসুখ দূর দূরে রাখার জন্য তুলসী পাতা কোনো তুলনা নাই।এই পাতায় রয়েছে রেডিওপ্রটেকটিভ উপাদান যা টিউমারকে মেরে ফেলে। এতে আরো রয়েছে ফাইটোকেমিক্যাল যেমন এপিজেনিন,লিউটিউলিন ও মাইরেটিনাল। তুলসী পাতায় অবস্থিত এসব উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। এছাড়া অগ্নাশয়ে টিউমার দেখা যায় দূরীকরণ তুলসী পাতা দারুন উপকারি।
মধুর কার্যকারিতা :-
শীতকালীন সর্দি কাশি অসুস্থতার ঘরোয়া চিকিৎসার অন্যতম একটি উপাদান মধু। নিয়মিত সকালে এবং সন্ধ্যায় মধু খাইলে অবশ্যই সত্যি কাছে কি তুমি মুক্তি লাভ করা যায়। মধুতে ৭০টির ও বেশি রোগের প্রতিষেধক রয়েছে । আপনি হয়তো মধু সেবনে একজন মানুষের শরীর যেমন সুস্থ থাকে তেমনি শীতকালীন সময়ে দুর্বলতা থেকে মুক্তি লাভ এবং শরীরকে অনেক উষ্ণ রাখে। এই মধুর কথা মুসলিমদের পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ অর্থাৎ পবিত্র কোরআন শরীফে উল্লেখ রয়েছে সেখানে আল্লাহ তায়ালা শুধুমাত্র তিনটি কথার পরে শেফা উল্লেখ করেছেন যার মধ্যে সব থেকে বেশি বার রয়েছে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম এবং মধুর কথা আল্লাহ বলেছেন মধুকে শেফা হিসেবে প্রদান করলাম ।
ওজন কমায় :-
তুলসী পাতা খেলে রক্তের কোলেস্টের ও সুগার মাত্রা দুটোই রোধ করে। তাই সহজে ওজন কমানো যায়।একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে তুলসী দিয়ে তৈরি ২৫০ মিলিগ্রাম একটি ক্যাপসুল খাওয়ার ফলে হয়ে ওবেসিটি ও লিপিড প্রোফাইল নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ডায়াবেটিকস দূর :-
ডায়াবেটিকস দূর :-
তুলসী পাতা ইনসুলিন উপাদানের কাজ করে।প্রতিদিন খাওয়ার আগে তুলসী পাতা খেলে রক্তের সুগারের পরিমাণ কমে।তুলসী এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। তুলশিতে থাকা স্যাপোনিন ডায়াবেটিসের রোগ প্রতিরোধে কাজ করে।
পরিশেষে,
তৌহিদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url