ইশরাকের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয়

প্রিয় পাঠক আজকে আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব ইশরাকের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয় সে বিষয়ে। তাছাড়াও আজকের আর্টিকেল আমরা আরো আলোচনা করব আমাদের জন্য ইশরাকের নামাজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আ আপনাদের হয়তো অনেকেরই জানা নেই ইশরাকের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয় কিভাবে পড়তে হয়। আপনারা যারা এই ইশরাক  নামাজ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি। 

ইশরাকের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয়

আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা জানতে পারবেন ইশরাকের নামাজ কোন সুরা দিয়ে পড়তে হয়। আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা ইশরাকের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয় এবং ইশরাক  নামাজের ফজিলত কি এই নামাজ পড়লে কি কি উপকার হয়? ইশরাক  নামাজ পড়ার নিয়ম কি? আশাকরি এই আজকের আর্টিকেলটি পড়লে ইশরাকের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয় সে বিষয় সম্পর্কে আপনারা সব কিছু বুঝতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক ইশরাকের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

ইশরাক নামাজ 

ইশরাক শব্দের অর্থ হলো আলোকিত হওয়া বা সূর্য ওঠার পর জগত আলোকিত হাওয়ার সময়। হাদিসের ইশরাকের নামাজের ইঙ্গিত পাওয়া যায় মুহাদ্দিসীনের কেরামগণ তাকে সালাতুল ইশরাকের নামাজ  বলেছেন। ইশরাকের নামাজ দ্বিপ্রহরের আগে পর্যন্ত নামাজ আদায় করা যায়। তবে ওয়াক্তের শুরুতে ইশরাক নামাজ পড়ে নেয়া উত্তম। ইশরাক নামাজ ফজরের নামাজ আদায়ের পর সেই স্থানে বসে থেকে দোয়া দরুদ জিকির-আযকারে লিপ্ত থাকবে ।

আরো পড়ুনঃকোন দোয়া পড়লে টাকা আসে

ইশরাকের নামাজের সময়

আমাদের অনেকের জানা নাই ইশরাক  নামাজ পড়ার নিয়ম ইশরাকে নামাজ কিভাবে পড়তে হয় কখন পড়তে হয় কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয়। ফজর নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে সূর্য ওঠার পর এই নামাজ আদায় করতে হয। সূর্য এক বর্ষা পরিমাণ মধ্য আকাশের দিকে ওঠা পর্যন্ত এ নামাজের ওয়াক্ত থাকে। এই ওয়াক্তের মধ্যে আমরা ইশরাক নামাজ আদায় করতে পারি।

আরো পড়ুনঃছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ

সূর্য পরিপূর্ণভাবে উদিত হওয়ার পর ইশরাক   নামাজ আদায় করতে হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাম ফজরের নামাজের পর থেকে সূর্যগ্রহ পর্যন্ত মসজিদে অবস্থান করতেন ইশরাকের নামাজ আদায় করার জন্য। ইশরাক  সময় হল বেলা সূর্য ওঠার ১৫ মিনিট পর থেকে দ্বিপ্রহরের ৫ মিনিট আগে পর্যন্ত তবে উত্তম হলো বেলা উঠার এক থেকে দেড় ঘন্টার মধ্যে ইশরাক নামাজ পড়া। 

ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম 

আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় হলো ইশরাকের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয়। এবার আপনাদের জানাবো ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে। প্রত্যেকটি নামাজ পড়ার জন্য আমাদের নিয়ত করতে হবে। তেমনি ইশরাকের নামাজ পড়ার নিয়ম রয়েছে সেই নিয়ম সম্পর্কে আজ আমরা আপনাদের জানাবো। নিয়ত করার অর্থ হচ্ছে মনে মনে পাঠ করা তবে নেয়ার মুখে উচ্চারণ করা শর্ত নয়। আমরা যদি কোন কাজ করার জন্য ইচ্ছা পোষণ করি তাহলে সেটা নিয়ত হয়ে যাবে।

আরো পড়ুনঃম দিয়ে দুই অক্ষরের মেয়েদের আধুনিক নাম

তেমনি ভাবে নামাজ পড়ার আগে আমরা জানি আমরা ইচ্ছে করি নামাজ পড়বো তাহলে সেটা নিয়াত হয়ে যাবে।আপনি যদি জোহরের চার রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ার জন্য ইচ্ছে করেন তাহলে সেটি আপনার জোহরের চার রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত হয়ে যাবে। ঠিক সেরকমই আপনি যদি ইশরাকের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার জন্য আপনি যদি মনে মনে ইচ্ছে করেন তাহলে সেটা আপনার জন্য নিয়াত হয়ে যাবে। যে কোন নামাজের জন্য মুখে বা মনে মনে নিয়ত করা মুস্তাহাব।


ইশরাকের নামাজ পড়ার ফজিলত - এশরাক নামাজের ফজিলত

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা ইশরাকের নামাজ পড়ার ফজিলত সম্পর্কে জানেনা। ইশাকের নামাজে অনেক ফজিলত রয়েছে । কোরআন ও হাদিসের আলোকে ইশরাকের নামাজ পড়ার ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিন।  ইশরাকের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করল এবং সূর্যোদায় পর্যন্ত আল্লাহর জিকিরে বসে থাকলে অতঃপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করলে সে একটি পরিপূর্ণ হজ ও ওমরা পালন করার সমান সওয়াব পাবে।

সূর্য উঠার পর জগত যেভাবে আলোকিত হয় আর এই সময় যে নামাজের কথা ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে সেই নফল নামাজটি হল ইশরাকের নামাজ। যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করার পর সে জায়গাতে বসে সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত তসবিহ করে অতঃপর দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে তার ওপর পূর্ণাঙ্গ হজ করার সওয়াব রয়েছে। তবে ইশরাকের  নামাজ  নির্দিষ্ট কোন রাকাত নেই। ইশরাকের নামাজ যত রাকাত তত রাকাত পড়া যায় তবে সর্বনিম্ন আপনি দুই রাকাত নামাজ পর্যন্ত পড়তে পারবেন।

আরো পড়ুনঃসূরা ইয়াসিন ৪১ বার পড়ার ফজিলত

আপনি ইশরাকের নামাজ যত রাকাত ইচ্ছা তত রাকাত পড়তে পারবেন নির্দিষ্ট কোন রাকাত বা নির্দিষ্ট কোন নিয়ম দেয়া হয়নি ইশরাকের নামাজে। ইশরাকের নামাজ পড়ে যতই ইবাদত করব ততই আমরা ফজিলত পাবো তাই আমাদের উচিত সঠিকভাবে ফরজ নামাজ আদায় করে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা। আমরা যদি ইশরাকের নামাজ পড়ি সে ক্ষেত্রে আমাদের অতিরিক্ত সওয়াব পাওয়া যাবে এবং বান্দার যে গুনাহ হয়েছে সেগুলো মাফ হয়ে যাবে। ইশরাকে নামাজের ফজিলত অনেক বেশি।

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার সঙ্গে ইশরাক নামাজের আদায় করা ও দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ অর্জন করা যায়। আমাদের দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সাথে ইশরাকের নামাজ পড়া জরুরী। আপনি যদি ইশরাক নামাজ নিয়মিত প্রতিদিন পড়তে পারেন তাহলে আপনি মহান আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় হতে পারেন। 

ইশরাকের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয়

আমাদের অনেকেরই জানা নেই ইশরাকের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয়। আপনাদের যাদের জানা নেই ইশরাকের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয় আমি আপনাদের আজকে জানাবো। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যদি আল্লাহর কোন বান্দা এবং বান্দী ফজরের ফরজ নামাজ আদায়ের পরে যদি সেই একই স্থানে বসে আল্লাহ তায়ালার তাজবি এবং জিকির পাঠ করে এবং কোরআন তেলাওয়াত করে এর মধ্যে ব্যস্ত থাকে।

তারপর সূর্য ওঠার ১৫ থেকে ২০ মিনিটের পরে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার আমলনামায় একটি পূর্ণ হজের সওয়াব তার আমল নামায় দিয়ে দিবে সুবহানাল্লাহ । ইসরাকের নামাজ যে কোন সূরা দিয়েই পড়া যায়। যেমন প্রথম দুই রাকাতে ফাতেয়ার সাথে যে কোন একটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ফাতিহার সাথে আরেকটি সূরা মিলিয়ে পড়তে হবে। 

আশা করছি আপনি হয়তো বুঝতে পেরেছেন ইশরাকের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয় সে বিষয়ে। আপনি যে কোন নফল কিংবা ফরজ নামাজ আদায় করার জন্য সুরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য যে কোন একটি সূরা মিলিয়ে নামাজ আদায় করতে পারেন আর দ্বিতীয় রাকাতে একইভাবে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য যে কোন একটি সূরা মিলিয়ে নামায আদায় করতে পারেন।

লেখকের শেষ কথাঃ ইশরাকের নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয়।

ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি এসরাগ নামাজের নিয়ম ফজিলত এরশাদকাত নামাজ কোন সূরা দিয়ে পড়তে হয় ইশরাক নামাজের নিয়ম কি এসব নামাজ কোন সময় পড়তে হয় ইত্যাদি বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি । আমরা যদি প্রতিনিয়ত ইশরাকের   নফল ইবাদত নিয়মিত করতে পারি তাহলে দৈনিক ফরজ ইবাদতের  ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে। 

আমাদের মধ্যে অনেকেই এই ইসরাত নামাজ আদায়ের সম্পর্কে উদাসীন হয়ে থাকেন।  ইসরাত নামাজের ফজিলত সম্পর্কে জেনে সঠিক ভাবে হিসেব নামাজ নফল নামাজ নফল ইবাদত পালন করার চেষ্টা করুন দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ সুনির্দিষ্টতা করা যায়। তাই সকল মুসলিমদের উচিত এর সাথে নামাজ নিয়মিত আদায় করা এবং আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা। আজকের আলোচনায় পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন আবারনতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব ইনশাল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

তৌহিদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url