কোন দোয়া পড়লে টাকা আসে - যে দোয়া পড়লে টাকার অভাব হয় না
প্রিয় বন্ধুরা আসসালামুআলাইকুম আশা করি তোমরা আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালোই আছো। । আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব কোন দোয়া পড়লে টাকা আসে এবং যে দোয়া পড়লে টাকার অভাব হয় না এ বিষয়ে। আপনারা অনেকেই রয়েছেন যারা গুগলে এ সার্চ করে থাকেন কোন দোয়া পাঠ করলে টাকা আসে এবং কোন দোয়া পড়লে টাকার অভাব হয় না সে বিষয়ে জানার জন্য । এই পৃথিবী মহান আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন এবং সকল প্রাণীর রিজিক তার নিজের হাতেই।
আমাদের জীবনে চলার পথে সব সময় টাকার প্রয়োজন হয় সেজন্য আমরা চিন্তা করি কোন দোয়া পড়লে টাকা আসে এ বিষয়টি অনেকে চিন্তা করে। আপনারা যারা এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করেন যে কোন দোয়া পড়লে টাকা আসে তাদের জন্যই আমাদের এই আজকের আর্টিকেলটি। সেজন্য অনেকে রয়েছে যারা জানার জন্য আগ্রহী যে, কোন দোয়া পড়লে টাকা আসে এবং কোন দোয়া পড়লে টাকার অভাব হয় না সে বিষয়টি জানার জন্য। কোন দোয়া পড়লে টাকা আসে এবং যে দোয়া পড়লে টাকার অভাব হয় না আজকের আর্টিকেলে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
রিজিক বৃদ্ধির দোয়া -কোন দোয়া পড়লে টাকা আসে
কোন দোয়া পড়লে টাকা আসে জানার আগে আমাদের সবার আগে রিজিক সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা দোয়া কবুল হওয়ার জন্য দোয়ার যথাযথ এবং সঠিক হওয়া জরুরী। আমাদের সকলের যদি রিজিক সম্পর্কে ধারণা না থাকে তাহলে আমরা সঠিকভাবে দোয়া করতে পারবো না।আজকের আর্টিকেলের এই অংশে রিজিক বৃদ্ধির দোয়া নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে সবার আগে আমাদের জানতে হবে রিজিক সম্পর্কে। রিজিক আরবি শব্দ । রিজিক মহান আল্লাহ তায়ালার বিশেষ দান ।
আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টির পূর্বেই তার রিজিক নির্ধারণ করে রেখেছেন। মানুষ ছাড়া সকল জীবজন্তু এবং প্রাণীর রিজিকও আল্লাহ তায়ালা নির্ধারণ করে থাকেন । সেজন্য আমাদেরকে দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রিজিক বৃদ্ধির প্রার্থনা করতে হয় । মানুষ যেন আল্লাহ তাআলার কাছে রিজিক বৃদ্ধির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারে সেজন্য কিছু দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন আজকের আর্টিকেলে সেই দোয়া নিয়ে আমরা আলোচনা করব।
বাংলা উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-‘আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-বুখলি ওয়াল-জুবনি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন দ্বালা‘য়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজা-ল।
বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমি আপনার আর প্রার্থনা করছি দুশ্চিন্তা ও দুধ থেকে অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে , ঋণের ভার ও মানুষের দমন পীড়ন থেকে (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৮৯৩)
হযরত আবু সাঈদ খুদরি (রাঃ) বলেন একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববীতে প্রবেশ করে আনসারী এক লোককে দেখতে পেলেন। যার নাম আবু উমামা । রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেন উমামা ব্যাপার কি? নামাজের সময় ছাড়াও তোমাকে মসজিদে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে? উমামা বলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ অনেক ঋণ এবং দুনিয়ার চিন্তা আমাকে গ্রাস করে রেখেছে।
তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেন আমি কি তোমাকে এমন কোন দোয়া শিখিয়ে দেবো যেগুলো বললে আল্লাহ তা'আলা তোমার চিন্তা দূর করে দেবেন এবং তোমার ঋণ গুলো আদায় করে দিবেন। তিনি বললেন জ্বী হ্যাঁ ইয়া রাসুল আল্লাহ অবশ্যই বলুন।
তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে উক্ত দোয়াটি শিখিয়ে দেন এবং তা সকালে এবং সন্ধ্যায় পাঠ করার জন্য বলেন। আবু উমামা বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দোয়াটি পড়তে লাগলাম ফলে আল্লাহ তা'আলা আমার সকল চিন্তা এবং আমার ঋণ গুলো আদায় করে দিলেন।
বাংলা উচ্চারণঃআল্লা-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা ‘আন হারা-মিকা ওয়া আগনিনী বিফাদ্বলিকা ‘আম্মান সিওয়া-ক।
বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ, হারামের পরিবর্তে হালালের রুজি আমার জন্য যথেষ্ট কর আর তোমাকে ছাড়া আমাকে আর অন্য কারো মুখাপেক্ষী করোনা এবং আমাকে সচ্ছলতা দান করো।
তাহলে আপনারা হয়তোবা বুঝতে পারলেন আল্লাহ তায়ালার কাছে রিজিক বৃদ্ধির দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে রিজিক পাওয়া যায় । তাহলে আপনারা জানতে পারলেন কোন দোয়া পড়লে টাকা আসে।
ইচ্ছা পূরণের দোয়া
আমাদের সকলেরই কোনো না কোনো ইচ্ছে থাকে। ইচ্ছে ছাড়া কোন মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না। সেজন্য সকলেরই ইচ্ছে থাকে কোন কিছু করার। আমরা সবাই আল্লাহর কাছে হাত তুলে দোয়া করি। আল্লাহর কাছে নিজের মনের বাসনা ব্যক্ত করে অনেক কিছু চাই। আল্লাহতালা যেন আমাদের মনের সকল আশা পূরণ করে সেজন্য আমরা কিছু দোয়া করতে পারি। আজকের আর্টিকেলে আমরা ইচ্ছে পূরণের দোয়া সম্পর্কে আপনাদের আলোচনা করব এই অংশে
উচ্চারণঃ "আল্লাহুম্মাহ-দিনি ফিহি লি-সালিহিল আ’মাল; ওয়া আক্বদি লি ফিহিল হাওয়া-ইঝা ওয়াল আ’মাল; ইয়া মান লা ইয়াহতাঝু ইলাত তাফসিরি ওয়াস সাওয়াল; ইয়া আ’লিমান বিমা ফি সুদুরিল আ’লামিন; সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলিহিত ত্বাহিরিন"
বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ , এ দিন আমাকে সৎ কাজের দিকে পরিচালিত কর । এমন সত্তা যার কাছে প্রয়োজনের কথা বলার জন্য ব্যাখ্যা দেয়ার দরকার হয় না । আমার সব প্রয়োজন ও আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে দাও । হে বিশ্ব দুনিয়ার রহস্য জ্ঞানী। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার পবিত্র বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ করুন।
আরেকটি দোয়া , নবী কারীম (সাঃ) এক ব্যক্তিকে ইসমে আজম পড়ে দোয়া করছে ইসমে আজম অর্থাৎ মহান আল্লাহর বিশেষ নাম যে নামে ডাকলে মহান আল্লাহ তায়ালা সারা দেন এবং যে নামে তার কাছে চাওয়া হলে সবকিছু চাওয়া পূরণ করেন(আবু দাউদ) দোয়াটি নিচে আলোচনা করা হলো।
উচ্চারণঃআল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু, লা-ইলাহা ইল্লা আংতাল মান্নান, বাদিউস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্, ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়্যুম।’
বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ , আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি, তুমি তো সকল প্রশংসার মালিক , তুমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই।তুমি দয়াশীল। তুমি মহাকাশ সমূহ ও পৃথিবীর একমাত্র সৃষ্টিকর্তা। হে মহান সম্রাট ও সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী ,, হে চিরজীব হে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ,
এই দোয়াটি পাঠ করলে মহান আল্লাহ তা'আলা মুমিন বান্দার মনের সকল ইচ্ছে পূরণ করবেন। মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদের মনের সকল ইচ্ছে পূরণ করুক আমীন।
গায়েবী টাকা পাওয়ার উপায়
প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকে রয়েছেন যারা মনে করেন যে কিভাবে বা কি আমল করলে গায়েবী টাকা পাওয়া উপায় সম্পর্কে জানার জন্য আপনারা হয়তো আজকের আর্টিকেলটি ওপেন করেছেন। গায়েবী টাকা পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে বেশি বেশি তাওবা ও ইস্তেগফার করা আর বেশি বেশি আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করতে হবে।
গায়েবী টাকা পাওয়ার দোয়াটি হলঃ আল্লাহুম্মাক ফিনি বি হালালিকা আন হারামিকা ,ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক
বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ, হারামের পরিবর্তে হালালের রুজি আমার জন্য যথেষ্ট কর আর তোমাকে ছাড়া আমাকে আর অন্য কারো মুখাপেক্ষী করোনা এবং আমাকে সচ্ছলতা দান করো।
কোন দোয়া পড়লে টাকা আসে
আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টির পূর্বেই তার রিজিক নির্ধারণ করে রেখেছেন। মানুষ ছাড়া সকল জীবজন্তু এবং প্রাণীর রিজিকও আল্লাহ তায়ালা নির্ধারণ করে থাকেন । সেজন্য আমাদেরকে দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রিজিক বৃদ্ধির প্রার্থনা করতে হয় । মানুষ যেন আল্লাহ তাআলার কাছে রিজিক বৃদ্ধির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারে সেজন্য কিছু দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন আজকের আর্টিকেলে সেই দোয়া নিয়ে আমরা আলোচনা করব।
বাংলা উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-‘আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-বুখলি ওয়াল-জুবনি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন দ্বালা‘য়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজা-ল।
বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমি আপনার আর প্রার্থনা করছি দুশ্চিন্তা ও দুধ থেকে অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে , ঋণের ভার ও মানুষের দমন পীড়ন থেকে (সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৮৯৩)
হযরত আবু সাঈদ খুদরি (রাঃ) বলেন একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববীতে প্রবেশ করে আনসারী এক লোককে দেখতে পেলেন। যার নাম আবু উমামা । রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেন উমামা ব্যাপার কি? নামাজের সময় ছাড়াও তোমাকে মসজিদে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে? উমামা বলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ অনেক ঋণ এবং দুনিয়ার চিন্তা আমাকে গ্রাস করে রেখেছে।
তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেন আমি কি তোমাকে এমন কোন দোয়া শিখিয়ে দেবো যেগুলো বললে আল্লাহ তা'আলা তোমার চিন্তা দূর করে দেবেন এবং তোমার ঋণ গুলো আদায় করে দিবেন। তিনি বললেন জ্বী হ্যাঁ ইয়া রাসুল আল্লাহ অবশ্যই বলুন।
তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে উক্ত দোয়াটি শিখিয়ে দেন এবং তা সকালে এবং সন্ধ্যায় পাঠ করার জন্য বলেন। আবু উমামা বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দোয়াটি পড়তে লাগলাম ফলে আল্লাহ তা'আলা আমার সকল চিন্তা এবং আমার ঋণ গুলো আদায় করে দিলেন।
বাংলা উচ্চারণঃআল্লা-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা ‘আন হারা-মিকা ওয়া আগনিনী বিফাদ্বলিকা ‘আম্মান সিওয়া-ক।
বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ, হারামের পরিবর্তে হালালের রুজি আমার জন্য যথেষ্ট কর আর তোমাকে ছাড়া আমাকে আর অন্য কারো মুখাপেক্ষী করোনা এবং আমাকে সচ্ছলতা দান করো।
তাহলে আপনারা হয়তোবা বুঝতে পারলেন আল্লাহ তায়ালার কাছে রিজিক বৃদ্ধির দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে রিজিক পাওয়া যায় । তাহলে আপনারা জানতে পারলেন কোন দোয়া পড়লে টাকা আসে।
তৌহিদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url