গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয় বিস্তারিত জানুন।
প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই আছেন যারা জানেন না গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয়। তাই আপনার যদি জানতে চান যে গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয় তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আপনিও জানতে পারবেন গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয়।
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয় সে বিষয়ে। গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয় বিস্তারিত জানতে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।
পোস্ট সূচিপত্রঃগর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয় বিস্তারিত জানুন।
- গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয়
- গর্ভপাতের পর কি খাওয়া উচিত
- গর্ভবতী অবস্থায় মাসিক হয় কেন
- গর্ভপাতের কতদিন পর ডিম্বাণু বের হয়
- গর্ভপাতের পর মাসিক না হলে করণীয়
- গর্ভপাতের কতদিন পর সহবাস করা যায়
- গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি
- লেখকের শেষ কথা
গর্ভপাতের পর কতদিন রক্তপাত হয়
গর্ভপাতের পর কি খাওয়া উচিত
- আয়রন সবৃদ্ধ খাবার
- ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
- ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার
- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
- বাদাম
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার ।
- বিভিন্ন রঙ্গিন ফলমূল শাক সবজী
গর্ভবতী অবস্থায় মাসিক হয় কেন
গর্ভপাতের কতদিন পর ডিম্বাণু বের হয়
গর্ভপাতের পর মাসিক না হলে করণীয়
গর্ভপাতের কতদিন পর সহবাস করা যায়
গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি
আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব গর্ভবতী হওয়ার কিছু প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে।
সাধারণত মহিলারা গর্ভবতী হওয়ার ছয় সপ্তাহের মধ্যেই ৬০ ভাগ মহিলাদের গর্ভধারণের
লক্ষণ দেখা দেয়। এবং আট সপ্তাহের পরে ৯০% মহিলারা গর্ভধারণের লক্ষণ প্রকাশ
পায়। আপনি যদি নিয়মিত মাসিকের তারিখ ঠিক মনে না রাখেন কিংবা কখন আপনার মাসিক
হওয়ার প্রয়োজন ছিল সেটি যদি আপনি ভুলে যান তাহলে আমাদের আর্টিকেলে উল্লেখিত যে
কোন একটি উপসর্গ দেখা দিলে আপনি বুঝবেন আপনার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ
পাচ্ছে।
- গর্ভধারণের জন্য সবচেয়ে প্রচলিত ও তাৎপর্যপূর্ণ লক্ষণ হল পিরিয়ড বা ঋতুচাপ বন্ধ হওয়া। প্রতিমাসের একটি নির্দিষ্ট সময় নারীদের পিরিয়ড হয়ে থাকে সাধারণত ২৮ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে। সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন আপনার প্রিয় ঠিক সময় হচ্ছে কিনা যদি ২৮ থেকে ৩২ দিনে পিরিয়ড না হয় তাহলে হয়তো আপনি গর্ভধারণ করেছে।
- তাছাড়া অন্যান্য লক্ষণ গুলো মিলিয়ে নিতে পারেন তখন তার সাথে প্রেগনেন্সি কি দিয়ে পরীক্ষা করে নিতে পারেন বা ইউরিন টেস্ট করতে পারেন।
- কোন নারীর যদি আগে থেকেই অনিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে তবে তাদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণের এই লক্ষণটি বোঝা একটু কষ্ট কর। যদি আপনার পিরিয়ড নিয়মিত না হয় অথবা আপনি আপনার চকলেট হিসেবে ঠিক মত রাখতে না পারেন, তবে আপনার পিরিয়ড নিউজ হয়েছে কিনা তা বুঝতে পারার পূর্বেই বমি ভাব বুকের স্পর্শ কাতরতা এবং ঘন ঘন বাথরুমে যাওয়া ইত্যাদি গর্ভধারণের লক্ষণ হতে পারে।
- খাবারের অনীহাঃ আপনি যদি নতুন গর্ভবতী হন এটা অস্বাভাবিক নয় যে কিছু কিছু খাবারের প্রতি আপনার অনিয়বোধ করলে কিংবা আপনার রুচি কমে যাবে। এ সময় আপনি বিভিন্ন খাবার গ্রহণের সময় খাবারের ব্যাপারে গন্ধ পবন ও হয়ে উঠতে পারেন। যদিও এর কারণ নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি এটা হয়তো আপনার দেহের দ্রুত ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধির একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
- এছাড়াও আপনি দেখতে পাবেন যে যে সকল খাদ্য যা আপনি মজা করে খেতেন তা হঠাৎ করে আপনার কাছে একেবারে অসহ্য লাগছে।
- আবার অনেক সময় মুখে বিষাদ লাগে কিংবা মুখের তামাটে ধরনের স্বাদ লাগে।
- আবার অনেক সময় মুখে দুর্গন্ধ লক্ষ্য করা যায়।
- গর্ভাবস্থায় মেজাজের পরিবর্তন একটি সাধারণ বিষয়। আংশিকভাবে এর কারণ হরমোন পরিবর্তন যা আপনার নিউরোট্রসমিটারের মাত্রাকে প্রভাবিত করে।
- হরমোন আধিক্যর জেরে এ রাগ,এই দুঃখ , কখনো অবসাদ , আবার কখনো মুহূর্তেই আনন্দ ভরে ওঠে এ ধরনের মুড সুইং হতে পারে। গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহে যে সকল লক্ষণ দেখা দেয় তার মধ্যে এটি অন্যতম
- পেটে গ্যাস হওয়াঃ গর্ভাবস্থার প্রথমদিকে অধিকাংশ পেটে গ্যাস তৈরি হয় এবং তা নির্গত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এছাড়াও পেট ফাঁপা অনুভূতি হতে পারে যা অনেকটা মাসিক শুরু পূর্বের লক্ষণের মত। এটি হয় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে।
- গর্ব অবস্থায় কারণে কোমরের কাছে আপনার কাপড় সাধারণ সময় চেয়ে আরো বেশি আর্ট শট মনে হতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত আপনার জরায়ুতে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি।
- হরমোনগত পরিবর্তনের কারণে এই সময় শরীরে যে কয়টি পরিবর্তন আসে তার একটি হল রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি।
- হরমোন পরিবর্তনের কারনে আপনার দেহের কিছু ধারাবাহিক প্রক্রিয়া দূরত্ব যা আপনি কিডনিতে রক্ত প্রবাহের হার বৃদ্ধি পায়।
- হরমোন পরিবর্তনের কারণে আপনার মূত্রথলী আরও দূরত্ব পূর্ণ হয়ে যায় যার ফলে আপনার আরও বেশি বার মূত্র ত্যাগ করতে হয়। প্রেগনেন্সির প্রথম ২ দিন সপ্তাহে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার খুব স্বাভাবিক।
- যতই আপনার গর্ভ অবস্থায় এগিয়ে যেতে থাকে সমস্যাটি আরো জটিল হতে থাকে। যখন আপনার ক্রমবৃদ্ধিমান শিশু আপনার মুত্রথলিতে আরো বেশি চাপ দিতে থাকে।
- ক্লান্ত লাগাঃ হঠাৎ করে ক্লান্ত বোধ করছেন? কিংবা ক্লান্তিতে ভেঙ্গে পড়ছেন। কেউ এটা নিশ্চিত করে জানে না যে কি কারনে গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে এই ক্লান্তভাবে দেখা দেয়। তবে সম্ভবত প্রোজেস্টরের হরমোনের মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি আপনার ঘুম ঘুম ভাবের জন্য দায়ী। তাছাড়াও মর্নিং ফিটনেস ও রাতে ঘুম থেকে ওঠার পরে বারবার প্রসাব করাও আপনার ক্লান্তি বোধ বাড়াতে কাজ করে।
- স্তনের পরিবর্তনঃ গর্ভবতী হওয়ার প্রথম দিকে একটি লক্ষণ হল সংবেদনশীল বা স্পর্শকাতর যা স্তন যা হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে হয়ে থাকে। অনেক সময় মাসিক শুরুর পূর্বে অনেকের এক ধরনের স্পর্শকাতরতা কিংবা ব্যাথা হয়ে থাকে । গর্ভাবস্থায় এরকম কিংবা আরো প্রকটভাবে উপসর্গ অনুভব হতে পারে।
- হালকা রক্তপাতঃ কিছু কিছু নারীর গর্ভবতী কিনা তা জানার আগে হালকা স্পর্টিং লক্ষ্য করে থাকেন। অনেকের এটাকে মাসিক মনে করে থাকেন।
- এটা এভুলেশনের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে হতে পারে। এটাকে ইনপ্লান্টেশন ব্লিডিং বলে। কারণ যারা ওকে ভুল উপস্থিত বা ইমপ্লেনটেশনের সময় এই রক্তপাত হতে পারে। এ প্রক্রিয়ায় ডিম্বাণু নিষিদ্ধ হওয়ার ৬ দিনের মধ্যে শুরু হয়। এটা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ হতে পারে।
- বমি বমি ভাবঃ কনসিভ করার দুই থেকে চার সপ্তাহ পর থেকে মর্নিং সিকনেস স বা বমি বমি ভাব দেখা দেয়। বমি বমি ভাব শুধু সকালেই নয় এমনি কে দুপুর এবং রাতে যে কোন সময় হতে পারে। গর্ভধারণের ছয় স্বপক্ষা থেকে সাধারণত মর্নিং সিকনেস বা বমি বমি ভাব দেখা দেয় তাই এটাকে কখনো ৪ সপ্তাহ থেকেও শুরু হতে পারে।
- শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধিঃ যদি আপনি আপনার দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা লিপিবদ্ধ করে রাখেন এবং দেখেন যে আপনার দেহের তাপমাত্রা অত্যন্ত ১৮ দিন ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি আছে তবে তা গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ হতে পারে।
- মাথা ধরাঃ গর্ভধারণ করলে মাথার যন্ত্রণা হতে পারে। গর্ভবতী হওয়ার প্রথম সপ্তাহের শুরুতে মাথাব্যথা শুরু হতে পারে। হরমোনের মাত্রা শরীরে বেড়ে যাওয়ার কারণে এই সমস্যা হয়।
- কোষ্ঠকাঠিন্যঃএটি হরমোনের মাত্রার তারতম্যের কারণে হয়। হর মনের বৃদ্ধির কারণে শরীরে হজম প্রক্রিয়ার গতি কমে যায় যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
- গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ দেখা দেওয়ার পর আপনি বাসায় বসে প্রেগনেন্সি টেস্ট করে নিতে পারেন
তৌহিদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url