মোবাইল ফোনের ব্যবহার শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করছে সম্পর্কে বিস্তারিত।
আপনারা অনেকেই হয়তো দেখে থাকবেন বর্তমানে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা
মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে বিপথগামী হচ্ছে। অনেক ভালো ভালো
শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে নানা ধরনের গেমে আসক্ত হওয়ার
কারণে তাদের পড়ালেখা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেয়া যায়, বর্তমানে মোবাইল ফোনের ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের কিভাবে বিপদগামী করেছেন। শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার কারণে তারা পড়াশোনা থেকে বিরত হচ্ছে এবং নানা রকম সন্ত্রাসী লোক কাজে লিপ্ত। উক্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র:মোবাইল ফোনের ব্যবহার শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করছে সম্পর্কে বিস্তারিত।
- স্মার্টফোন আসক্তি পড়াশোনার ক্ষতি
- মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক
- অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
- মোবাইল ফোনের অপব্যবহার
- মোবাইল আসক্তির কুফল
- মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়
স্মার্টফোন আসক্তি পড়াশোনার ক্ষতি
করোনা চলকালীন সময়ের নেতিবাচক দিক গুলোর মধ্যে অন্যতম হলেও স্মার্টফোনে আসক্তি। সবচেয়ে বেশি করোনা কালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা থেকে স্মার্টফোনের উপর আসক্তি বেশি হয়েছে। কারণ হলো করোনা কালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া হতো যার ফলে পিতা-মাতা তাদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য তাদের হাতে স্মার্ট ফোন তুলে দেয়। তখন তারা পড়াশোনার পাশাপাশি স্মার্টফোনে বিভিন্ন রকমের গেম এবং ভিডিও করে আসক্ত হয় যার ফলে তাদের পড়াশোনায় ব্যাহত হয়।
একটা বিখ্যাত উক্তি আছে সেটি হল " বই হচ্ছে মস্তিষ্কের সন্তান" উক্ত উক্তিটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে একটি বই একটা সন্তানের মস্তিষ্ককে বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। যখন করোনার জন্য ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় এবং শিক্ষার্থীদের অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস হয় এবং এসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার জন্য অনলাইনে ক্লাস করতে হয় সে জন্যই অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের হাতে তুলে দেয় স্মার্টফোন।
ইউনিসেফ এর একটি তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের প্রতি তিনজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে একজন হচ্ছে শিশু বা শিক্ষার্থী । প্রতিদিন এক লক্ষ ৭৫ হাজার অর্থাৎ অতি আধার সেকেন্ডে করে নতুন একজন শিশু ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। একজন সাধারন মানুষ কোন বিষয় গড়ে ১২ থেকে ১৫ মিনিট মনে রাখতে পারে কিন্তু স্মার্টফোন ব্যবহার করার জন্য সেই সংখ্যা গড়ে ৫ মিনিটেরও কম সময় হয়ে গেছে ।
ইংল্যান্ডের চারটি জরিপ করে দেখা গেছে যেসব স্কুলে বা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করত তাদের মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করার কারণে তাদের ফলাফল ৬% ভালো হয়েছে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে,স্মার্টফোনের অনেক সুবিধা থাকলেও একটি শিক্ষার্থীদের মনোযোগ নষ্ট করে এবং পড়াশোনায় ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। বর্তমান সময়ে স্মার্টফোনে আসক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা ফ্রী ফায়ার , পাবজি , সিওসি এর মত আরও অনেক অনলাইন গেমে আসক্ত হয়ে পড়ছি এর ফলে যেমন শারীরিক মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে তেমনি তাদের পড়াশোনায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক
যে সকল জিনিসের সুবিধা আছে তার কিছু অসুবিধা বা অপকারিতা দিক অবশ্যই থাকবেই। তেমনি মোবাইল ফোন যেমন আমাদের অনেক সুবিধা দেয় তেমনি এর অনেক ক্ষতিকর দিকও রয়েছে আজকের আর্টিকেলে সে বিষয়গুলোই সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। বর্তমান সময় এমন একটি সময় যেখানে আমরা মোবাইল ফোন ছাড়া কোন কিছু কল্পনা করতে পারি না।
মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আমরা কাজকর্ম , যোগাযোগ , গেমিং , ইন্টারনেট , টিভি দেখা , গান শোনা , ভয়েস কল , ভিডিও কল , সহ আরো অনেক কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আমরা আমাদের সময় কাটাচ্ছি। এখন আমি আপনাদের জন্য আলোচনা করব মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে
- মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা সবসময় অন্যকে বিভ্রান্ত করে ।
- স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক সমস্যাই থাকে।
- অতিরিক্ত সময় মোবাইল ফোনে ব্যবহার করে ।
- নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা ।
- দুর্ঘটনা হওয়ার সুযোগ বেশি থাকে ।
- কোন কাজে মন বসে না।
- পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যায়।
- চোখ জ্বালাপোড়া করা ।
- ঘাড় ব্যথা ।
- কানের সমস্যা ।
- অতিরিক্ত ক্লান্তি ।
- মাথা ব্যথা করা।
- মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া।
- চিন্তাশক্তি কমে যাওয়া ।
- মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে গেছে।
অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
আধুনিক যুগে মৌবাইল ফোন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য একটি অঙ্গ হয়ে উঠেছে। মৌবাইল ফোন আমাদের বর্তমান সময়ে এমন একটা আংশ হয়ে গেছে যে,মৌবাইল ছাড়া আমরা একটা সময় ও কল্পনা করা হয় না।কিন্তু মৌবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যাবহারে কিছু ক্ষতি দিক রয়েছে আজকে আমরা সেই বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
- মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা সবসময় অন্যকে বিভ্রান্ত করে ।
- স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক সমস্যাই থাকে।
- অতিরিক্ত সময় মোবাইল ফোনে ব্যবহার করে ।
- নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা ।
- দুর্ঘটনা হওয়ার সুযোগ বেশি থাকে ।
- কোন কাজে মন বসে না।
- পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যায়।
- চোখ জ্বালাপোড়া করা ।
- ঘাড় ব্যথা ।
- কানের সমস্যা ।
- অতিরিক্ত ক্লান্তি ।
- মাথা ব্যথা করা।
- মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া।
- চিন্তাশক্তি কমে যাওয়া ।
- মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে গেছে।
মোবাইল ফোনের অপব্যবহার
বর্তমানে ছেলে-মেয়েরা মোবাইল ফোনের অপব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের অপরাধমূলক কাজ করছে। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন রকমের অশ্লীল এবং অমানবিক আচরণ করে। আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের জানাবো মোবাইল ফোনের অপব্যবহার সম্পর্কে তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
- মোবাইল ব্যবহারে চরম আসক্তি
- সাইবার ক্রাইম
- অশ্লীল ও অমানবিক বিষয়বস্তু স্বাধীন প্রবেশাধিকার।
- অনলাইন গেমিং ও গেম্বলিং নেশার আবদ্ধ হওয়া।
- অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়া।
- ডার্ক ওয়েব এর সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলা।
- হিংসাত্মক চিন্তা ভাবনা মাত্রা অতিরিক্ত প্রচার।
মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়
আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে কিভাবে মোবাইলে আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এ বিষয়ে। কারণ আপনারা অনেকেই আছেন যারা আপনাদের সন্তানদের মোবাইলের আসক্তি থেকে দূরে সরাতে চাচ্ছেন কিন্তু পারছেন না তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেক অভিভাবক আছে যাদের সন্তানরা খাওয়া দাওয়া করতে চায় না কিন্তু তাদের মায়েরা তাদের হাতে স্মার্টফোন দিয়ে খাওয়ানোর অভ্যাস করে তোলে। একসময় এই সমস্যা মারাত্মক সমস্যা পরিণত হয়ে যায়।
- পড়াশুনা বা অন্য কাজ ছেড়ে আপনার অনলাইনে চ্যাটিং , গেমিং , টেক্সট এবং ভিডিও দেখ ইচ্ছে করছে তাহলে আপনি বুঝবেন আপনি মোবাইলে আসক্তি হয়েছেন। এখন আপনার কাছ থেকে আপনি মোবাইলটি দূরে রেখে আপনি আপনার কাজ করতে থাকবেন।
- বিনা প্রয়োজনে বারবার মোবাইলে নোটিফিকেশন চেক করার প্রয়োজন নেই। অপ্রয়োজনে সকল নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখুন।
- বন্ধুদের সাথে অনলাইনে সময় না দিয়ে সরাসরি দেখা করুন এবং নিয়মিত খেলাধুলা করুন।
- দিনের একটি সময়ে মৌবাইল ব্যাবহার করুন ।
তৌহিদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url