গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম - মেথির উপকারিতা চুলের জন্য
পোস্ট সূচিপত্রঃ গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম - মেথির উপকারিতা চুলের জন্য
- গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম।
- খালি পেটে মেথি ভেজানো জল খাওয়ার নিয়ম।
- মেথি খাওয়ার উপকারিতা।
- মেথির উপকারিতা চুলের জন্য।
- চুলের খুশকি দূর করতে মেথি।
- চুল বৃদ্ধি এবং নতুন চুল গজাতে মেথি।
- ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়।
- লেখকের শেষ কথা
গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম
খালি পেটে মেথি ভেজানো জল খাওয়ার নিয়ম
যারা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন তারা যদি প্রতিদিন খালি পেটে মিষ্টি ভেজানো জল পান করেন তাহলে আপনারা এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারেন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য উপরের নিয়ম গুলো অনুসরণ করে প্রতিদিন যদি খালি পেটে মেথি ভেজানো জল খান তাহলে আপনি অনেক উপকার পাবেন। তাছাড়া আপনি যদি নিয়মিত মিথি ভিজানো জল পান করেন তাহলে আপনার শরীরের কোলেস্টেরলের এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
-
কোন একটি পরিষ্কার পাত্রে কিছু পরিমাণ পানি রেখে তারপর সেখানেই একটা চামচ মেথি
ভিজিয়ে রাখতে হবে ।
- এরপর সেই মেথি গুলোকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে
- এরপর আপনি সেই পানি পান করতে পারেন।
মেথি খাওয়ার উপকারিতা
আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব মেয়েটি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। সাধারণত
মেথি ব্যবহার করা হয় রান্নার কাজে। তাছাড়া বিভিন্ন কাজে মেতে লাগে। মেথির
রয়েছে অনেক উপকারিতা। মেথি খেলে যে সকল উপকার হয় নিচে সেগুলো সম্পর্কে বলা
হলো।
- কৃমি দূর হয়।
- কোলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণ করে।
- ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
- পেটের সমস্যা দূর করে।।
- চুল পড়া কমায়।
- খিদেও হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
- ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণ করে।
- পেশি ও হাঁটুর ব্যথা দূর করে।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
- বুকে জ্বালাপোড়া কমায়।
- মায়ের বুকের দুধ বাড়ায়।
মেথির উপকারিতা চুলের জন্য
আপনাদের অনেকেরই রয়েছে চুলের সমস্যা উনার হাতের কাছে আমি কি হতে পারে আপনার সেই
সমস্যার সমাধানের উপায়। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক মেথির উপকারিতা।
-
মেথিতে থাকা উপকারী প্রোটিন যা আপনার চুলকে মজবুত করে এবং সহজে ভেঙে পড়তে দেয়
না।
- মেথিতে আছে এন্টিফাঙ্গাল উপাদান যা খুশকি সমস্যা কমায়।
-
নেতৃত্বে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট যা চুলের গোড়ায় জোরদার করতে এবং মজবুত
করে
- চুলের বৃদ্ধি হয় তাড়াতাড়ি
- চুল পড়া কমায়
- নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে
চুলের খুশকি দূর করতে মেথি
চুলের খুশকি আমাদের সকলের যেন একটা সাধারন সমস্যা। চুলের খুশকির অন্যতম প্রধান
সমস্যা যা বয়সন্ধিকালের পূর্বে দেখা যায় না। খুশকি হলে মোটামুটি সবাই লক্ষণ
দেখেই বুঝতে পারে। কিন্তু আপনারা যারা দীর্ঘদিন খুশকি সমস্যায় ভুগছেন তারা
চুলের জন্য মেথি ব্যবহার করতে পারেন। আপনার চুলে খুশকি দূর করতে ২/৩ চা চামচ
মেথি পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর বেটে দুই তিন চা চামচ টক দই মিশিয়ে তুলে
দিতে হবে নিয়মিত কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনার চুলের খুশকি সমস্যা দূর হয়ে
যাবে।
আরো পড়ুনঃ লেজার ট্রিটমেন্ট এর খরচ কত বাংলাদেশে
চুল বৃদ্ধি এবং নতুন চুল গজাতে মেথি
চুল বৃদ্ধি এবং নতুন চুল গজাতে মেথির ভূমিকা অপরিসীম। মেটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লেসিথিন যা চুলের গোড়ায় পুষ্টিযোগা এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এবার এক টেবিল চামচ মেথি এবং এক টেবিল চা চামচ সরিষার তেল একসাথে মিশিয়ে ফেলুন এরপরে সামান্য কিছু গরম পানি নিয়ে এতে সরিষার তেল আর মেথি ভিজিয়ে রাখুন এক ঘন্টার মত সময়।
এক ঘন্টা পরে সেটিকে তুলে তার সাথে এক চা চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে
সবগুলোকে একসাথে মিশ্রণ করুন। তারপরে সেই মিশ্রণটি চুলে ভালোভাবে মাখিয়ে দিন।
এরপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন সেটি শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে
প্রতিদিন নিয়মিত ব্যবহার করুন। সরিষাতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন যা চুলের গোড়া
শক্ত করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
আমরা সবাই কমবেশি গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় বসে থাকে। তার অন্যতম কারণ হচ্ছে আমাদের
খাওয়ার অনিয়ম। নিয়ম না মেনে খাবার জন্যই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিলেন যে লক্ষণ গুলো হয় সেগুলো হল পেট জ্বালাপোড়া
করে, বদহজম, বমি বমি ভাব, তাছাড়াও আরো অনেক সমস্যা হতে পারে। বাহিরের ভাজাপোড়া
খাবার এবং জাঙ্ক ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আজকের আর্টিকেলটি পড়লেই জানতে
পারবেন গ্যাস্ট্রিকের হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার ঘরোয়া উপায় ।
আরো পড়ূনঃ স্বামীকে কিভাবে আদর করতে হয়
ধূমপানঃ যাদের ধূমপান করার অভ্যাস হয়েছে তাদের অবশ্যই ধূমপান ত্যাগ
করতে হবে না হলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বৃদ্ধি পাবে। যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
হয় তাদের ধূমপান করার কারণে মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। সেজন্য ধূমপান
থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে।
পেঁপেঃ গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পেঁপে অনেক উপকারী একটি
খাবার। পেঁপেতে রয়েছে এনজাইম যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
থেকে সমাধান পেতে আমাদের নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
আদাঃ গ্যাস্ট্রিক বা পেট ফাঁপার মতো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখে আদা। আদাতে রয়েছে এন্টি ইনফ্লেমিটারি উপাদান সমৃদ্ধ খাবার।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান করার জন্য আদা কুচি করে লবণ দিয়ে খেতে হবে।
আরো পড়ুন ঃ একজিমা কোন ভিটামিনের অভাবে হয়
কলা ও কমলাঃ কলা ও কমলা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী দুইটি ফল। কলা ও
কমলা নিয়মিত খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে থাকা অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করে ফলে পেটের
নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ডাবের পানিঃ সকল খাবার কে সহজে হজম করতে সাহায্য করে ডাবের পানি।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধানের জন্য নিয়মিত ডাবের পানি খেতে পারেন।
দইঃ হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য দইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। দই খাওয়ার ফলে
খাবার দ্রুত হজম হতে সাহায্য করে। তাছাড়া পেটে খাবার হজমে কোন সমস্যা হলে
দই খেলে সেই সমস্যা দূর হয়ে যায়
উপরের উল্লেখিত নিয়ম গুলো অনুসরণ করলে আশা করি আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
চিরতরে ভালো হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
তৌহিদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url