বাচ্চাদের পায়খানা কষা হলে করণীয় - পায়খানা কষা থেকে মুক্তির উপায়
প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই রয়েছেন যারা আপনাদের বাচ্চাদের পায়খানা কষা হলে
করণীয় কি এবং পায়খানা কষা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি এ বিষয়ে জানতে চান
আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য।
তাহলে চলুন দেরি না করে দেখে নেয়া যাক বাচ্চাদের পায়খানা কষা হলে করণীয় কি
এবং পায়খানা কষা থেকে মুক্তির উপায়। বিস্তারিত জানতে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ
সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্র ঃবাচ্চাদের পায়খানা কষা হলে করণীয় - পায়খানা কষা থেকে মুক্তির উপায়
আরো পড়ুনঃডায়াবেটিসে মেথি খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব বাচ্চাদের
পায়খানা কষা হলে করণীয় কি এবং কষা পায়খানা থেকে মুক্তি
পাওয়ার সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে
পড়ুন।
শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার উপায়
মায়েদের খুব সাধারন একটা অভিযোগ হচ্ছে শিশুরা খেতে চায় না। মনে রাখবেন
শিশুরা খেতে না চাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য। অনেক
সময় বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য হলে মায়েরা বুঝতে পারে না। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে বাচ্চাদের
পায়খানা পুরোপুরি পরিষ্কারভাবে না হওয়ার কারণে তাদের পেট ফেঁপে থাকে
যার ফলে তাদের খাওয়ারও রুচি দেখা দেয়। এখন আলোচনা করব যে সকল কারণে
বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।
- বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার অন্যতম কারণ হলো ভুল জীবন যাপন। তাছাড়া শিশুদের পর্যাপ্ত হাঁটাচলা এবং খেলাধুলা সুযোগ না থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
-
যদি দিনের বেশিরভাগ সময় শিশু একই স্থানে বসে থেকে কাটায় বা শুয়ে
থাকে তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
-
প্রচুর পরিমাণে চিপস এবং ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খাওয়া।
-
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি কম খাওয়া
-
যেসব শিশু গরুর দুধ খায় তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
-
তাছাড়া বংশগত কারণেও হতে পারে।
এ সকল কারণে শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। আজকে এখন আমরা জানবো কিভাবে
শিশুদের এই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা যায় এবং দূর করার উপায় সম্পর্কে।
- শিশুদের খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে এবং শিশুদের সবজি জাতীয় খাবার খাওয়াতে হবে বেশি বেশি করে
-
জুস খাওয়ানোর পরিবর্তে ফলমূল খাওয়াতে হবে।
-
শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়াতে হবে।
- শিশুদের নিয়মিত খেলাধুলা করাতে হবে।
বাচ্চাদের পায়খানা নরম হওয়ার উপায়
অনেক বাবা মায়ের রয়েছে যারা জানে না বাচ্চাদের কষা পায়খানা হলে কিভাবে
বাচ্চাদের পায়খানা নরম করার উপায় সম্পর্কে। বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় পিতা-মাতাকে অবশ্যই সচেতন
থাকতে হবে। এবং বাচ্চাদের যে সকল খাবার গুলো নিয়মিত খাওয়ানোর ফলে
পায়খানা নরম করা যায় সে খাবার গুলো নিচে নাম উল্লেখ করে দেয়া হলো।
- পাকা কলা
-
সাগু
-
বেল
-
মটরশুঁটি
-
শাকসবজি
-
পাকা আম
-
সবুজ মটর
-
আলু বোখরা
-
মিষ্টি আলু
-
কিসমিস
-
নাশপাতি
-
রুটি
বাচ্চাদের পায়খানা নরম করার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়।
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ সেবন করানো উচিত নয়। তবে বাচ্চাদের
সাপোজিটল দিয়ে খুব সহজে বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় মলত্যাগ
করে।
বাচ্চাদের পায়খানা না হলে কি ঔষধ
অনেকেরই ধারণা ছোট বাচ্চাদের পায়খানা না হলে কোন ঔষধ খাওয়ানো যাবে কিনা?
কেননা পরবর্তীতে ওষুধ না খেলে তা সারবে না অনেকেই এমন প্রশ্ন করে থাকেন? মূলত
বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য একটি কষ্টদায়ক অবস্থা। বাচ্চাদের পায়ুপথে গ্লিসারিন
বা সাপোজিটর দিয়ে খুব সহজেই বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং মলত্যাগ
করে। এছাড়া বাচ্চাদের হজমের জন্য এমিডন সিরাপ খাওয়ানো যেতে পারে।
বাচ্চাদের পায়খানা না হলে করণীয়
সাধারণত নবজাতক বাচ্চাদের এক সপ্তাহ পর্যন্ত পায়খানা না হলে সেটা
স্বাভাবিক। সেটা নির্ভর করে বাচ্চার গতিবিধির উপর বাসার সুস্থ থাকলে
কান্নাকাটি না করলে কোন সমস্যা নেই। তবে নবজাতকের পায়খানা না হলে অনেকগুলো
কারণ থাকতে পারে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নবজাতকের মায়ের খাবারের তালিকা।
বাচ্চাদের যদি নিয়মিত পায়খানা না হয় তাহলে তাদের সে সকল কাজগুলো করতে হবে
নিচের সকল কাজগুলোর কথা উল্লেখ করা হলো।
- আঁশ যুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে
-
দুধের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে হবে এবং আঁশযুক্ত খাবার খাওয়াতে
হবে
-
পছন্দের বাথরুম ব্যবহার করতে হবে
-
মলত্যাগের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে
- বেশি বেশি পানি পান করতে হবে
আপনি যদি আপনার বাচ্চাকে এই কাজগুলো নিয়মিত ছোটকাল থেকে এই
অভ্যাসগুলো গড়ে তোলেন তাহলে আপনার বাচ্চার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হওয়া থেকে
দূরে থাকবে।
বাচ্চাদের পায়খানা কষা হলে ঔষধ
অনেকেরই ধারণা ছোট বাচ্চাদের পায়খানা না হলে কোন ঔষধ খাওয়ানো যাবে কিনা?
কেননা পরবর্তীতে ওষুধ না খেলে তা সারবে না অনেকেই এমন প্রশ্ন করে থাকেন? মূলত
বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য একটি কষ্টদায়ক অবস্থা। বাচ্চাদের পায়ুপথে গ্লিসারিন
বা সাপোজিটর দিয়ে খুব সহজেই বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং মলত্যাগ
করে।
এছাড়া বাচ্চাদের হজমের জন্য এমিডন সিরাপ খাওয়ানো যেতে পারে। তাছাড়া এই
ওষুধগুলো খাওয়ানোর পরেও যদি আপনার বাচ্চা পায়খানা কষা হয় তাহলে আর দেরি না
করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ মত ওষুধ বাচ্চাকে
খাওয়াতে হবে।
পায়খানা কষা থেকে মুক্তির উপায়
আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে এমন প্রশ্ন করে থাকি পেট পরিষ্কার হচ্ছে না
টয়লেটে অনেক সময় বসে থাকতে হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যতে ভুগছি এর থেকে মুক্তি
পাওয়ার উপায় কি? নিচে সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
- ফাইবার বা আঁশ জাতীয় খাবার না থাকা
- যথেষ্ট পরিমাণে পানি না খাওয়া
- ব্যায়াম অভ্যাস করে তুলতে হবে।
- পায়খানার চাপ আসলে তা চেপে না রাখা।
- মানসিক চাপ উদ্বিগ্নতা ও বিষণ্ণতা থেকে নিজেকে সবসময় বিরত রাখতে হবে।
ফাইবার বা আঁশ জাতীয় খাবারঃ আমাদের খাবার তালিকায় প্রতিদিন আঁশ
জাতীয় খাবার থাকা কেন প্রয়োজন এখন আমি আপনাদের আলোচনা করে জানাবো। আমাদের
পেটের ভিতরে থাকা নারীভূড়ি যেখানে পায়খানা তৈরি হয় সেখানে আশ বা ফাইবার
অনেকটা স্পঞ্জ এর মত কাজ করে। অর্থাৎ আঁশ পানির শোষণ ধারণ করার মাধ্যমে
পানি ধরে রাখতে সহজ হয়। যার ফলে পায়খানা নরম হয় ভারী হয় যার ফলে
খুব দ্রুত পায়খানা হয়।
আরো পড়ুনঃদাউদের সবচেয়ে ভালো ঔষধ
তাহলে আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আশ বা ফাইবার জাতীয় খাদ্য
রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে এখন জেনে নেয়া যাক কোন কোন খাদ্যে ফাইবার
থাকে, ডাল , ছোলা, গাজর, আপেল , লাল চাল, লাল আটা , শসা , টমেটো
, কলা , এবং অন্যান্য শাকসবজিতে ফাইবার বা আঁশ থাকে।
যথেষ্ট পরিমাণে পানি না খাওয়াঃ কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার দ্বিতীয়
অন্যতম কারণ হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খাওয়া। পায়খানা নরম করতে
আমাদের পানি খাওয়ার প্রয়োজন হয়। পায়খানা যাতে আমাদের বৃহৎ অঙ্গে সহজে
চলাচল করতে পারে এবং কোথাও আটকে না থাকে সেজন্য প্রতিদিন সর্বনিম্ন ২ লিটার
পানি খেতে হবে চাইলে আপনি আরো বেশি খেতে পারেন যার ফলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য
হওয়ার সম্ভাবনা দূর হয়ে যাবে।
ব্যায়াম অভ্যাস করে তুলতে হবেঃ আমরা যদি দীর্ঘ সময় এক জায়গাতে বসে
থেকে শুয়ে থাকি তাহলে আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য
আমাদের নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন। ব্যায়াম করার ফলে আমাদের পেটের ভিতরে
থাকা নারীভূড়িগুলো সচল থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। সেজন্য
প্রতিদিন কিছু পরিমাণে ব্যায়াম করার প্রয়োজন।
পায়খানার চাপ আসলে তা চেপে না রাখাঃ আমাদের যখন পায়খানার চাপ আসলে
তার চেপে রাখা উচিত নয় কারণ দীর্ঘদিন চেপে রাখার ফলে শরীর থেকে পানি চুষে
নিতে থাকে যার ফলে পায়খানা কষা হয় এবং পায়খানা করতে অনেক কষ্ট হয়।
সেজন্য যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের পায়খানার চাপ আসলে চেপে না রেখে দ্রুত
পায়খানা করার চেষ্টা করতে হবে।
মানসিক চাপঃ মানসিক চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে। মানসিক চাপে
থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। সেজন্য মানসিক চাপ দূর করার জন্য নিয়মিত
ব্যায়াম খেলাধুলা, পরিবারের সদস্যদের সাথে সময় দেওয়া তাছাড়া ভ্রমণ করার
মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো যায়। মানসিক চাপ দূর করার ফলে থেকে মুক্তি পাওয়া
যায়।
আরো পড়ুনঃসহবাসের সময় ছেলেদের আকর্ষণের জায়গা
ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ অনেক ঔষধ রয়েছে যেগুলো খাওয়ার ফলে শরীর
অনেক কষা যার ফলে পায়খানাও কষা হয়ে যায়। বিভিন্ন রকমের ব্যথা জাতীয় ঔষধ
যেমন অপি এড, ট্রমাডল জাতীয় ঔষধ গ্রহণ করার ফলে শরীর ফর্সা হয়ে যেতে
পারে যার ফলে পায়খানা কষা হয়ে যায়।
তাছাড়া আপনি যদি এন্টিবায়োটিক ঔষধ গ্রহণ করেন তাহলে আপনার শরীর কষা হয়ে
যেতে পারে, সেজন্য আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। আর এমন অনেক ওষুধ রয়েছে যেগুলো
সারা জীবন খাওয়া লাগবে ওপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো মেনে আপনার জীবন পরিচালনা
করতে পারেন।
লেখকের শেষ কথাঃবাচ্চাদের পায়খানা কষা হলে করণীয় - পায়খানা কষা থেকে মুক্তির উপায়
আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি বাচ্চাদের পায়খানা কষা হলে
করণীয় কি এবং পায়খানা কষা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় সম্পর্কে। আজকের
আর্টিকেলটি পড়ে অবশ্যই অভিভাবক আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে
যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন আর
প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন। আজকের আর্টিকেলটি
পরে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।
আরো পড়ুনঃপেনিসের মাথায় ফুসকুড়ি চিকিৎসা
তৌহিদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url