৭ দিনে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়

প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব ৭ দিনে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে। আপনাদের যদি টেস্টোস্টেরন হরমোনসম্পর্কে জানার ইচ্ছে থাকে তাহলে আজকের আর্টকেলটি আপনার জন্য । আজকের আর্টিকেল পড়লে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে টেস্টোস্টেরন হরমোন কিভাবে ৭ দিনে বৃদ্ধি করা যায় । সেজন্য আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।
testosterone
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক কিভাবে ৭ দিনের শরীরের টেস্টোস্টেরন  হরমোন বৃদ্ধি করা যায় । কারন টেস্টোস্টেরন এবং মেয়েদের শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি হরমোন ।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ৭ দিনে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়

টেস্টোস্টেরন কি

প্রিয় পাঠক আপনাদের অনেকেরই প্রশ্ন থাকে টেস্টোস্টেরন  কি তাদের জন্যই আমাদের এই আজকের আর্টিকেলটি । আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন টেস্টোস্টেরন হরমোন কি এবং কি কাজে লাগে সে বিষয়ে সম্পর্কে । টেস্টোস্টেরন হচ্ছে পুরুষ সেক্স হরমোন । টেস্টোস্টেরন হরমোন যা পুরুষের যৌনাঙ্গ , মাংসপেশী , হাড় গঠন , চর্বি বিতরণ , লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন এবং নিয়ন্ত্রণ করে। 

একজন পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য টেস্টোস্টেরন হরমোন প্রয়োজন হয় । এই হরমোনের প্রভাবে বয়ঃসন্ধির সময় যুবকদের যৌন , গৌণ বৈশিষ্ট্য গুলো প্রকাশ পায় । যৌনাঙ্গে ক্রেশ এর  আবির্ভাব ঘটে , গলার কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হয় , এবং মার্সেল শক্তিশালী হয় । পূর্ণবয়স্ক পুরুষদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন হরমোন যৌন চাহিদা কে নিয়ন্ত্রণ করে এবং শারীরিক সক্ষমতাকে রক্ষা করে এবং শুক্ররানো উৎপাদনে সাহায্য করে । মহিলাদের দেহে টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপাদন হয় কিন্তু খুব কম পরিমাণে ।

টেস্টোস্টেরন হরমোন টেস্ট

আমরা অনেকেই মনে করে থাকি টেস্টোস্টেরন হরমোন মনে হয় শুধু ছেলেদের শরীরেই থাকে কিন্তু না মহিলাদের শরীরেও  টেস্টোস্টেরন হরমোন  তৈরি হয় । টেস্টোস্টেরন হরমোন কম হলে শরীরের বিভিন্ন রকমের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে । টেস্টোস্টেরন হরমোনের কারণে ছেলেদের কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হয় , যৌনাঙ্গে  ক্রেশ আবির্ভাব ঘটে  , এবং মার্সেল শক্তিশালী হয় । পূর্ণবয়স্ক পুরুষদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন হরমোন যৌন চাহিদা কে নিয়ন্ত্রণ করে এবং শারীরিক সক্ষমতা কে রক্ষা করে থাকে এবং শুক্রাণু উৎপাদনে সাহায্য করে । 

পুরুষের ন্যায় নারীদের শরীরেও টেস্টোস্টেরন হরমোন হরমোন থাকে কিন্তু কম পরিমাণে সেজন্য দেখা যায় যে কিছু কিছু মেয়েদের কণ্ঠস্বর ছেলেদের মত মনে হয় এবং ছেলেদের মত মেয়েদেরও দাড়ি এবং গোফ বের হয় ।টেস্টোস্টেরন টেস্টের সাহায্যে রক্তের মধ্যে টেস্টোস্টেরন হরমোন মাত্রা পরিমাপ করা হয় । রক্তের মধ্যে বেশিরভাগ টেস্টোস্টেরন প্রোটিনের সাথে আবদ্ধ অবস্থায় থাকে । অল্প কিছু টেস্টোস্টেরন মুক্ত অবস্থায় থাকে । এ কারণে টেস্টোস্টেরন টেস্ট দুই প্রকার ।
  • টোটাল টেস্টোস্টেরন টেস্ট 
  • ফ্রি  টেস্টোস্টেরন টেস্ট
টোটাল টেস্টোস্টেরন টেস্টঃ
এই  টেস্টোস্টেরন টেস্টের মাধ্যমে শরীরে অবস্থিত  মোট  টেস্টোস্টেরন অর্থৎ প্রোটিনের সাথে আবদ্ধ মুক্ত এই দুই প্রকার একত্রে পরিমান করা হয় । 

ফ্রি  টেস্টোস্টেরন টেস্টঃএই  টেস্টোস্টেরন টেস্টের মাধ্যমে শরীরে মুক্ত বা  ফ্রি টেস্টোস্টেরন মাত্র পরিমাপ করা হয় ।মুক্ত বা  ফ্রি টেস্টোস্টেরন যেহুতু কার্যকরি টেস্টোস্টেরন তাই  ফ্রি টেস্টোস্টেরন মাত্র পরিমাপ করে শারিরীক অবস্থা সম্পর্কে বেশি ধারনা পাওয়া  যায় ।
কেন এবং কখন টেস্টোস্টেরন টেস্ট  করতে দেওয়া হয় ঃবিশেষ কিছু শারিরীক সমস্যা বা অস্বাভিক সমস্যা কারন জানতে টেস্টোস্টেরন টেস্ট করার প্রয়জন হয় । পুরুষদের ক্ষেত্রে যৌবন এগিয়ে গেলে বা পিছিয়ে গেলে টেস্টোস্টেরন টেস্ট করার প্রয়জন হয় । পুরুষ বা মহিলা উভয়ের ক্ষেত্র যদি যৌন চাহিদার আভাব দেখা দিলে বা পুরুষ ও  বন্ধকাত্ব দেখা দিলে টেস্টোস্টেরন টেস্ট করতে হয় । 

অন্ডকোষে টিউমার দেখা দিলে হাইপ্রোথেলামাস ও পিটুইটারি গ্রন্থে কোন সমস্যা দেখা দিলে টেস্টোস্টেরন টেস্ট করতে হয় । মেয়েদের শরীরে লোমের আর্ভিবাব দেখা দিলে টেস্টোস্টেরন টেস্ট করতে হয় । মেয়েদের অনিয়মিত মাসিক ও মুখে বেশি ব্রন দেখা দিলে বা গর্ভধারনে সমস্যা দেখা দিলে  টেস্টোস্টেরন টেস্ট করতে হয় । পুরুষদের হাড় ও মাংশপেশি দূর্বল হলে এবং চুল এবং কমে গেলে  টেস্টোস্টেরন টেস্ট করার প্রয়জন হয় । 

রক্তের নমুনা সংগ্রহ করার জন্যঃসাধারণত হাতের শিরা থেকে  রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয় । বাহুতে একটি রাবার ব্যান দ্বারা বেধে  দেওয়া হয় এবং সিরিংসের সাহায্যে রক্ত সংগ্রহ করা হয় ।আঙ্গুলে সুচ বিদ্ধ করেও  রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয় সেই জন্য বিশেষ ধরনের টেস্ট কিটের প্রয়জন হয় ।

পরীক্ষার প্রস্তুতিঃটেস্টোস্টেরন টেস্ট করার জন্য বিশেষ কোন প্রস্তুতির প্রয়জন হয় না । খালি পেটে বা ভরা পেটে রক্তের নমুনা দেওয়া যেতে পারে । তবে সাধারণত সকালে রক্তের নমুনা দেওয়া হয় । রক্ত নেয়ার সময় তেমন কোন সমস্যা হয় না সুশৃদ্ধ জায়গায় ব্যথা হতে পারে ।

টেস্টোস্টেরন হরমোনের কাজ

একজন পুরুষের জীবনধারার টেস্টোস্টেরন হরমোনের কাজ দুটি ভাগে ভাগ করা যায় । আজকে আমরা জানব টেস্টোস্টেরন হরমোনের কাজ কি এবং টেস্টোস্টেরন হরমোনের কিভাবে বাচ্চা অবস্থায় এবং প্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় কাজ করে । এই বিষয় সম্পর্কে এভাবে সম্পর্কে জানতেই আজকের আর্টিকেলটি। সেজন্য আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে ।টেস্টোস্টেরন হরমোনের কাজ ২ অবস্থায় কাজ করে
  • গর্ভ অবস্থায়
  • পূর্ন বয়স্ক অবস্থায়
গর্ভ অবস্থায়ঃএকজন বাচ্চা যখন গর্ভ অবস্থায় থাকে তখনো কিন্তু টেস্টোস্টেরন হরমোনের গুরুত্ব অপরিসীম । ব্রুন এর লিঙ্গ নির্ধারণ  আমরা জানি গর্ভের সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে এটা নির্ধারণ করে সেক্স ক্রোমোজোমের উপর।কিন্তু গর্ভের ব্রুনের লিঙ্গগত পার্থক্য জন্য কিন্তু টেস্টোস্টেরন দায়ী ।টেস্টোস্টেরন হরমোন  গর্ভ অবস্থায় একজন পুরুষের যৌনাঙ্গ গঠনে সহায়তা করে । 

একজন শিশু যখন গর্ভ থাকে তখন তার অন্ড কোষগুলো  পিটের ভিতর থাকে এবং শিশুর জন্মের কিছুদিন আগে পেট থেকে তা নিজের দিকে চলে আসে । আর এই টেস্টোস্টেরন শিশুর অন্ডকোষটির পেট থেকে নিচের দিকে নামিয়ে আনে । যদি কখনো অণ্ডকোষ পেট থেকে নিচে নামতে না পারে তখন তাকে বলা হয় কিপ্ট অর্গানাইজেশন যা পুরুষের স্বাভাবিক যৌন জীবনকে ব্যাহত করে ।

পূর্ন বয়স্ক অবস্থায়ঃ এবারে আমরা আলোচনা করব প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় টেস্টোস্টেরন হরমোন যে সকল কাজ করে সে সকল বিষয় নিয়ে আজকে আলোচনা করা হলো।

যৌনাঙ্গের গঠনঃ টেস্টোস্টেরন হরমোন একটি নির্ধারিত সময়ের পুরুষের বয়সন্ধির পর  পুরুষের যৌনাঙ্গ যেমন লিঙ্গ , অন্ডকোষ , স্ক্রুটাম এর আকার বৃদ্ধি করে । বলা হয়ে থাকে টেস্টোস্টেরন হরমোন করনে এ সকল অঙ্গ গুলোর আকার ৮ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং পুরুষের বীর্য এবং শুক্রড়ানো উৎপাদনে সহায়তা করে । 

সেকেন্ডারি সেক্সসুয়াল ক্যারেক্টার ১৩ থেকে ১৬ বছরের ছেলে এবং মেয়েদের শরীরে এক ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় । যাকে আমরা বলি বয়সন্ধিকাল এই  টেস্টোস্টেরন ছেলেদের চরিত্রগুলোর বিকাশ ঘটায় এবং শারীরিক সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ গড়ে তুলে । 

মাংসপেশী ঘটন ঃ যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য মাংস  বৃদ্ধি অধিক গুরুত্বপূর্ণ । বয়সন্ধিকালের পর সাধারণত ছেলেদের ৫০% মাংস বেশি বৃদ্ধি পায় এই মাংস বেশি বৃদ্ধি করায় টেস্টোস্টেরন হরমোন কাজ  ।

হাড়ের গঠন ঃটেস্টোস্টেরন হরমোন হাড়ের পুরুত্ব বৃদ্ধি করে এবং ক্যালসিয়াম জমা করতে সাহায্য করে । ফলে হার আকার বৃদ্ধি হয় এবং শক্তিশালী হয় । আর এ কারণেই বয়সন্ধিকের পর ছেলে মেয়েরা হঠাৎ করে লম্বা হয়ে যায় ।

ত্বকঃ টেস্টোস্টেরন হরমোন ত্বকের পুরুত্ব বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের নিচে রুক্ষতা তৈরি করে ।টেস্টোস্টেরন হরমোন মেলালিন তৈরি করে সে কারণেই ফর্সা এবং কালো করার জনয দায়ী আর এই পরিবর্তনের কারণেই মুখে ব্রণ বা একনি হয় । বয়সন্ধিকালে ছেলেদের গোফ , দাড়ি ,বগল , এবং পেটে লোম গজাই , এজন্য টেস্টোস্টেরন হরমোন দায়ী । সাধারণত বয়সন্ধিকালের পর ছেলেদের হেয়ার ডিস্ট্রিবিউশন করে এছাড়া পুরুষের মাথায় টাক হয় ।

কণ্ঠস্বর পরিবর্তনঃ কিশোর বয়সে কণ্ঠস্বর একটু চিকন থাকে কিন্তু বয়সন্ধিকালে টেস্টোস্টেরন হরমোনের কারনে গলার রেলেনজিয়াল মার্সেল পরিবর্তন হয় যা পরিবর্তন হয়ে যায় এবং অনেকটাই প্রাপ্ত বয়স্কদের মতো হয়ে যায় । এছাড়াও শরীরে রক্ত কণিকা বৃদ্ধির জন্য টেস্টোস্টেরন হরমোন বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।

টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাবে কি হয়

টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় আমাদের অনেকেরই অজানা ।মানব শরীরে অত্যান্ত একটি হরমোন এর নাম হলো টেস্টোস্টেরন হরমোন ।শরীরে টেস্টোস্টেরন অভাব দেখা দিলে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয় । টেস্টোস্টেরন হরমোন পরীক্ষা করে জেনে নিন যদি আপনি টেস্টোস্টেরন হরমোন ঘার্তিতে ভুগে থাকেন । সহ সকল প্রাণী জগতের শুক্রাণু হরমোন থেকে উৎপাদিত হয় । প্রাণীর ক্ষেত্রে পুরুষের শুক্রাণু এবং মহিলার ডিম্বাণু থেকে টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপাদন হয় ।

কিছু পরিমাণ আলটিনাল গ্রন্থি থেকে নিঃসরিত হয় ।টেস্টোস্টেরন হরমোন পুরুষত্বের ক্ষেত্রে প্রধান । পুরুষের জন্যটেস্টোস্টেরন হরমোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ইনস্টিটিউট অব হেলথ এর মত অনুসারে টেস্টোস্টেরন হরমোন মানুষের শারীরিক উর্বরতা নির্ভর করে । নারী পরিমাণ এই হরমোনের কিছু পরিমানে  দেখা পাওয়া যায় । তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক এই টেস্টোস্টেরন হরমোন আভাবে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে ।

শরীরের ওজন বৃদ্ধিঃ শরীরে বাড়তি ওজন বৃদ্ধির ফলে শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাব দেখা দিতে পারে । বাড়তি ওজন টেস্টোস্টেরন কে ইসট্রেটজন পরিণত করে । বিনা কারণেও মানব দেহে এই হরমোনের অভাব দেখা দিতে পারে । নিয়মিত শারীরিক চর্চা ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর শাকসবজি এবং ফলমূল খেলে আমরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি ।

অবসাদঃ দুপুরের খাবার গ্রহণের পর অনেকের শারীরিক ক্লান্তি চলে আসে অনেকেই কোন কাজ করতে উৎসাহ পায় না শরীর ভারী অনুভব হয় এবং অল্পতেই হাঁপিয়ে যাই ।

ঘুমের সমস্যা ঃ যে সকল পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন জনিত ও সমস্যা বিদ্যমান তাদের সাধারণত ভালোমতো ঘুম হয় না । ঘুম না হওয়ার কারণে তাদের শরীরে  সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয় ঘুম। যেমন , হার্ট অ্যাটাক , খিটখিটে মেজাজ , স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া ,ইত্যাদি ।

বিষণতাঃএক গবেষনাতে দেখা গিয়েছে যে সাধারনত টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাবে ছেলেরা বিষনিতায় ভূগে ।তাছাড়া শারিরীক ও মানসিক সমস্যায় ভূগে ।তাছাড়া অসুস্থবোধ বা ব্যাথায় ভূগে টেস্টোস্টেরন হরমোন কারনে শরীরের বিভিন্ন হাড়ে ব্যাথা অনুভব হয় । এছাড়া শারিরীক ও মানসিক বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা দেই ।

হাড় জনিত সমস্যাঃসাধারনত মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা দেয়া ,কিন্তু যে সকল পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন অভাব থাকে তাদের ক্ষেতে হাড় জনিত সমস্যা দেখা যাই ।

স্তন বৃদ্ধি পাওয়াঃ দেহে টেস্টোস্টেরন হরমোন অভাব হলে  টেস্টোস্টেরন ও ইসট্রেটজন মধ্যকার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে পড়ে যার ফলে পুরুষের স্তন অস্বভাবিক হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে । এই রোগকে গাইনোকনষ্টিয়া বলা হয় ।

মনোযোগের অভাবঃ টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাব হলে মস্তিষ্কে কোন কিছু মনে রাখতে সমস্যা হয়। যার ফলে কোন কিছুতেই মনোযোগ আনা যায় না । এই সমস্যা ছাড়া আরো সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন পুরুষের লিঙ্গ বৃদ্ধি না হওয়া । ভালোভাবে দাড়ি গোফ উঠে না এবং মাংসপেশীতে শক্তি থাকে না । গ্রোথ হরমনে বাধাগ্রস্থ হয় ।

টেস্টোস্টেরন এর স্বাভাবিক মাত্রা কত

বয়স অনুসারে  টেস্টোস্টেরন এর স্বাভাবিক মাত্রা কত বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন মাত্রায় প্রকাশ পাই নিম্নে তা তুলে ধরা হলো ।ছেলেদের এবং মেয়েদের আলাদা মাত্রায় টেস্টোস্টেরন হরমোন থাকে বিষয়টা জানানোর জন্য আমাদের এই আজকের আর্টিকেলটি ।টেস্টোস্টেরন এর স্বাভাবিক মাত্রা কত জানতে আজকে আর্টিকেলটি মনোযগ সহকারে পড়ুন ।
ছেলেদের টেস্টোস্টেরন এর স্বাভাবিক মাত্রা কত হলোঃ
  • ০-৫ মাসের ছেলেদের জন্য ৭৫-৪০০ ng/dl
  • ৬মাস থেকে ৯ বছরের ছেলেদের  জন্য<৭-২০ ng/dl
  • ১০ -১১ বছর এর ছেলেদের জন্য <৭-১৩০ ng/dl
  • ১২-১৩ বছর এর ছেলেদের জন্য <৭-৮০০ ng/dl
  • ১৪ বছর এর ছেলেদের জন্য <৭-১২০০ ng/dl
  • ১৫-১৬ বছর এর ছেলেদের জন্য <১০০-১২০০ ng/dl
  • ১৭-১৮ বছর এর ছেলেদের জন্য <৩০০-১২০০ ng/dl
  • এবং ১৯ বছর এর বেশি বয়সিদের জন্য <২৪০ -৯৫০ ng/dl
মেয়েদের টেস্টোস্টেরন এর স্বাভাবিক মাত্রা কত হলোঃ
  • ০-৫ মাসের মেয়েদের জন্য ২০-৮০ng/dl
  • ৬মাস থেকে ৯ বছরের মেয়েদের  জন্য<৭-২০ ng/dl
  • ১০ -১১ বছর এর মেয়েদের জন্য <৭-৪৪ ng/dl
  • ১২ -১৬ বছর এর মেয়েদের জন্য <৭-৭৫ ng/dl
  • ১৭-১৮ বছর এর মেয়েদের জন্য ২০-৭৫ ng/dl
  • এবং ১৯ বছর এর বেশি বয়সিদের জন্য ৮ - ৬০ ng/dl
পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন মাত্রা কম হতে পারে , ডায়াবেটিক্স বা ব্লাড সুগার বেশি হলে , লিভার অসুস্থ হলে , কিডনি রোগগ্রস্ত হলে , বা ইমিউনি সিস্টেমে কোন সমস্যা হলে টেস্টোস্টেরন হরমোন মাত্র কম হতে পারে । অন্ডকোষে আঘাত পেলে ভাইরাল ডিজিস , যেমন মামসে হলে ইমো থেরাপি বা রেডিও থেরাপি ব্যবহার করলে বা অন্ডকোষ অপারেশন করে বাদ দিলে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কম হয় ।

টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঔষধ

আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঔষধ সম্পর্কে । কারন টেস্টোস্টেরন হরমোনের আভাবে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে সেই জন্য টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঔষধ খাওয়ার ফলে আপনি এই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন । তাহলে চলুন দেখে নেওয়া  যাক কোন কোন ঔষুধ গ্রহন  করলে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির করা যাই ।

টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাই তাহলে তার যদি মুখ , গোপাঙ্গ , মাথা থেকে চুল উঠে যাই তার জন্য Acid phos -200 ট্যাবলেট গ্রহন করলে আপনার টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার চুল পরা সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন ।এছাড়া রয়েছে যাদের টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওযার করনে চুল ,গোফ  , দাড়ি , যৌন ক্ষমতা ,  কমে যাই  তাহলে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির জন্য Baryta Carb খেলে আপনি আপনার  সমস্যার সমাধান পেতে পারেন ।এছাড়া আরো কিছু ঔষুধ রয়েছে যেগুলো আপনার টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করে ।
  • selenium -200
  • Arg nit -200
  • kali phos -200
  • Caladium -200
  • Ashwagandha-Q
  • Avena Sative -Q 
  • Sebal Seru -Q 
  • Nuphhar Luteum-Q
  • Agnus cast -Q 

টাটেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে কি হয়

টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে শরীরে কি ধরনের সমস্যা দেখা দেই আজ আমরা সেই বিষয়ে আলোচনা করবো । তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে শরীরে কি ধরনের  কাজ করে এখন আলোচনা করবো । টেস্টোস্টেরন পুরুষের অন্ডকোষে তৈরি হয় এর স্বাভাবিক মাত্র হলো ২৭০-১০৭০ ng/dl  । যদি কোন ক্ষেত্রে একজন পুরুষের শরিরে এই হরমোন এর মাত্র কমে যাই তাহলে  এইটাকে হাইপ্রোগোনালিজম বলে । 

তার ফলে  শরীরে বিভিন্ন লক্ষন দেখা দেই  যার মাধ্যমে বুঝা যাই একজন পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেছে । পুরুষের লিঙ্গ ছোট হয়ে যেতে পারে , বীর্য কমে যেতে পারে । যার ফলে পুরুষদের বন্ধ্যাত্বকতা দেখা দেয় । তাছাড়াও এই হরমোনের অভাবে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি বেড়ে যেতে পারে । যার ফলে পুরুষের স্তনের বড় হয়ে যায় এটাকে গাইনোকনষ্টিয়া বলে

টেস্টোস্টেরন হরমোন বেড়ে গেলে কি হয় 

টেস্টোস্টেরন হরমোন বেড়ে গেলে শরীরে কি কি ধরনের পরিবর্তন দেখা যাই সেই বিষয়ে আলোচনা করা হলো ।প্রত্যক মানুষের শারিরীক ও মানসিক যৌন স্বাস্থ্যেরর জন্য টেস্টোস্টেরন হরমোন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন । তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক টেস্টোস্টেরন হরমোন বেড়ে গেলে কি হয় সে সকল বিষয়ে ।
  • পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি পেলে ছেলেদের বুকে এবং পিঠে প্রচুর পরিমানে লোম গজাই ।
  • টেস্টোস্টেরন হরমোন শরীরে প্রোটিন বৃদ্ধি করে যার ফলে মাংসপেশীর বৃদ্ধি ঘটায় তাই টেস্টোস্টেরন হরমোন বেশি থাকলে শরীর সুগঠিত  ও পেশি বহুল দেখায় । 
  • টেস্টোস্টেরন হরমোন প্রভাবে গলার আওযাজ গুরু গম্বির দেখায় । যে পুরুষের গলায় আওয়াজ যত গম্ভীর তার শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন প্রভাব বেশি ।
  • টেস্টোস্টেরন হরমোন  কমে গেলে অন্ডকোষ আকারে ছোট বড় হয়ে যায় । অন্ডকোষের আকৃতি স্বাভাবিক থাকাটা টেস্টোস্টেরন হরমোন সঠিক থাকার লক্ষন ।
  • টেস্টোস্টেরন হরমোন ফুসকুড়ির মত কালো দাগ দেখা দেয় ।
  • টেস্টোস্টেরন হরমোন যাদের শরীরে বেশি থাকে তাদের রাগ ও জেদ বেশি হয় এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে তারা পিছপা হয় না 
  • টেস্টোস্টেরন হরমোন বেশি থাকে অন্য পুরুষের চেয়ে তাদের যৌন উত্তেজনা বেশি থাকে এবং সেক্স করার ক্ষমতা বেশি থাকে এবং দূরত্ব লিঙ্গ শক্ত হয় এবং দীর্ঘক্ষণ লিঙ্গের শক্ত ভাব বজায় থাকে ।
  • টেস্টোস্টেরন হরমোন বেশি থাকলে হারে এবং শরীরে ব্যথা থাকে না ।

পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়

টেস্টোস্টেরন হরমোনেরর যদি অভাব দেখা দেই তাহলে তার যৌন ক্ষমতা কমে যায় এবং সহবাস করার আকাঙ্ক্ষা কমে যায় । কিছু খাবর রয়েছে যেগুলো খেলে আপনার শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি পেতে পারে । সেই জন্য আপনার খাদ্য তালিকা তে ম্যাগনেসিয়াম রিচ ফুড যেমন পালং শাক বা সবুজ শাকসবজি । বেশি বেশি করে সামুদ্রিক মাছ খেতে হবে । ফলিক এসিড জাতীয় খাবার খেতে হবে যেমন কাঠ বাদাম , চিনা বাদাম , কাজুবাদাম । 

এছাড়াও ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে এবং ভিটামিন সি ৬ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে ।  নির্ধারিত পরিমাণে ঘুমাতে হবে অর্থাৎ ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে যার ফলে আপনার শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি পাবে । ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ করতে হবে অর্থাৎ ব্যায়াম করতে হবে । অনৈতিক খারাপ কাজ নেশা বিড়ি সিগারেট তামাক দব্য খাওয়া থেকে আপনাকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে ।

৭দিনে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় 

আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব কিভাবে ৭দিনে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়  সম্পর্কে । আপনি যদি জানতে চান  ৭ দিনে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে তাহলে আজকের আর্টিকেল কি আপনার জন্য । বর্তমানে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় হল প্রাকৃতিক উপায় । 

যদি আপনি শত চেষ্টার পরেও আপনার টেস্টোস্টেরন হরমোন না আনতে পারেন তাহলে Nature testo-৬ সেবন করে দেখতে পারেন । এ Nature testo-ভিডিও6 গ্রহন করলে  ৭ দিনে আপনি আপনার সমস্যার সমাধান পাবেন তাছাড়া আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাহলেও আপনার টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির পায় ।

লেখকের শেষ কথাঃ৭দিনে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় 

টেস্টোস্টেরন হরমোন  পুরুষ এবং মহিলার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান ।আমাদের প্রত্যহিক জীবিনে টেস্টোস্টেরন হরমোন অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে। সাধারণত শরীরে অধিক টেস্টোস্টেরন হরমোন মত সমস্যাগুলো দেখা যায় না । কিন্তু আপনার যদি টেস্টোস্টেরন হরমোন মাত্রা কমে যায় তাহলে আপনার নিজের শরীরের জন্য উপরে বর্ণিত খাবারগুলো গ্রহণ করতে হবে এবং ওষুধগুলো গ্রহণ করতে হবে ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

তৌহিদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url