অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
প্রিয় পাঠক আসসালামু আলাইকুম, আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আপনারা যারা অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চান আজকের পোস্টটি তাদের জন্য। আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে। আজকের পোস্টটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়লেই বুঝতে পারবেন অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ কি?
চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক , অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণে। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো । বিস্তারিত জানতে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন
পোস্ট সূচিপত্রঃ অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ ২০২৩
- মাসিক কেন হয়
- মাসিক না হওয়ার কারণ
- দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ
- মাসিক না হলে কি প্রেগন্যান্ট
- মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
- দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায়
- পিরিয়ড দেরিতে হলে করনীয়
- মাসিক বন্ধ হলে কি সহবাস করা যায়
- কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয়
- মাসিক নিয়মিত করার ট্যাবলেট
- মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ
- মাসিক না হলে কি সমস্যা হয়
- অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ
মাসিক কেন হয় ?
মেয়েদের মাসিক এটি একটি শারীরিক গঠনের কারণ ও সন্তান জন্মদানের একটা মাধ্যম জরায়ুর ভিতর দেওয়ালের একটি স্তর থাকে যেখানে ব্রণ গেয়ি সংযুক্ত হয় ও যখন এই স্তরটি খসে পড়ে তখন কিছু রক্ত সহ তা বেরিয়ে যায় এটি মাসিক । এই জটিল স্তরটি সুস্থ সরল ব্রণকে গ্রহণ করে এবং বিকৃত গুন কে মাসিকের মাধ্যমে বের করে দিয়ে শরীরকে রোগ মুক্ত রাখে ।
আরো পড়ুনঃ পুরুষাঙ্গ ছোট হওয়ার কারন ও প্রতিকার
এবং বিকৃত বাচ্চা হওয়া থেকে মহিলাদের রক্ষা করে । মাসিক আসলে মেয়েদের কোন রোগ নয় এটি আল্লাহ তায়ালার দেয়া একটি নিয়ামত এবং মেয়েদের শরীর সুস্থ রাখার উপায় যেটা আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করে দিয়েছেন
মাসিক না হওয়ার কারণ
আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা আলোচনা করব মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ কি? আসলে একটি মেয়ের সাধারণত ২৮ দিন পর পর মাসিক হয়। কিন্তু যদি নিয়মিত মাসিক না হয় তাহলে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। সাধারণত যে সকল কারণে মেয়েদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায় সেগুলো হলঃ অতিরিক্ত চিন্তা, পরিশ্রম , দুর্বলতা , জীবনযাত্রায় বড় কোনো পরিবর্তন এইসব কারণে মাসিক নাও হতে পারে।
তাছাড়া আরও কিছু কারণ রয়েছে সেগুলো হল বয়স জনিত কারণ , গর্ববস্থায , কম ওজন , ফ্রাইব্রেয়েড়স , আর্লি পেগনেন্সি লস, হরমোনাল বার্থ কন্ট্রোল , একটু পরে আসছি শারীরিক ত্রুটির কারণেও পিরিয়ডে অনিয়মিত হতে পারে । মাসিক নিয়মিত করার জন্য ডাক্তারেরা হরমোন থেরাপি দিয়ে থাকে যেটাকে আমরা খাবার পিল হিসেবে বলি । মাসিক না হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
- অতিরিক্ত চিন্তাঃ কোন অবস্থায় আপনি যদি অতিরিক্ত চিন্তা করেন এবং টেনশনে থাকেন তাহলে মাসিক নাও হতে পারে ।
- পরিশ্রমঃ আপনি অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাহলে আপনার শরীরের কোষগুলো ক্লান্ত হয়ে থাকে এবং আপনার শরীরের দুর্বল হয়ে যায় তখন মাসিক বন্ধ হয়ে যায় ।
- দুর্বলতাঃ আপনি যদি শারীরিক অসুস্থ থাকেন অর্থাৎ দুর্বল থাকেন তখন আপনার মাসিক বন্ধ হয়ে থাকে ।
- বয়স জনিত করনঃ অল্প বয়সী এবং মধ্যবয়সী নারীদের মধ্যে অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে । এর পেছনের কারণটি হল হরমোন ।
- আর্লি পেগনেন্সি লসঃ একজন নারী যদি গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন কিন্তু তা জানতেন না , তারপর নিজে থেকেই তার গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে এই ঘটনাকে সাধারণত মাসিকের সাথে তুলনা করা হয় । আর এই সময় মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
- ওজন কমঃ ওজন কম হলে নিয়মিত মাসিক নাও হতে পারে আবার কিছুদিনের জন্য বন্ধ হয়ে থাকতে পারে
- ফাইব্রেয়েড়সঃ অনেক মহিলা আছে জানি টিউমারের বৃদ্ধি হয় তাকে ফাইব্রায়েডস বলা হয়। এগুলো মাসিকের স্বাভাবিক চক্রকে বাধা দিতে পারে ।
- হরমোনাল বার্থ কন্ট্রোলঃ কোন মেয়ে যদি বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক করে এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে যেমন পিল, প্যাচ , ইনজেকশন , আইইউডি , এগুলো ব্যবহার করলে তিনি নিয়মিত মাসিক বন্ধ হয়ে যায় ।
দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ
সাধারণত যে সকল কারণে মেয়েদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায় সেগুলো হলঃ অতিরিক্ত চিন্তা, পরিশ্রম , দুর্বলতা , জীবনযাত্রায় বড় কোনো পরিবর্তন এইসব কারণে মাসিক নাও হতে পারে।আরও কিছু কারণ রয়েছে সেগুলো হল বয়স জনিত কারণ , গর্ববস্থায , কম ওজন , ফ্রাইব্রেয়েড়স , আর্লি পেগনেন্সি লস, হরমোনাল বার্থ কন্ট্রোল , একটু পরে আসছি শারীরিক ত্রুটির কারণেও পিরিয়ডে অনিয়মিত হতে পারে সাধারণত মেয়েদের দুই মাস মাসিক না হওয়া অস্বাভাবিক একটি বিষয় ।
গর্ভাবস্থায় এটি স্বাভাবিক বিষয় কিন্তু । এছাড়া অন্যান্য কারণে তদন্ত করে দেখতে হবে যে কেন দুই মাস মাসিক বন্ধ হয়ে থাকে , যৌনশক্তি ও মহিলাদের জন্য যেমন , পিসিওডি হাইপারথাইলোজিয়াম ,হাইপার্টাইলোসিস , রক্তশূন্যতা হতে পারে আজকালকার মহিলাদের জীবনধারার চাপ একটা প্রধান ভূমিকা পালন করে । যা অনিয়মিত মাসিকের কারণ হয়ে দাঁড়ায় ।
সুতরাং জীবন যাত্রার পরিবর্তন মাসিকে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে । অনিয়মিত মাসিকের জন্য ঔষধ আপনাকে সাহায্য করবে কিন্তু ঔষধ গুলি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নেয়া উচিত না হলে এর সাইড ইফেক্ট দেখা দিতে পারে ।
মাসিক না হলে কি প্রেগন্যান্ট
আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা আলোচনা করব মেয়েদের মাসিক না হলে প্রেগন্যান্ট। আসলে মাসিক না হওয়ার জন্য বিভিন্ন কারণ থেকে থাকে এবং প্রেগন্যান্ট হওয়ার জন্য যেসব কারণগুলো তাকে প্রয়োজন সেসব কারণে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। অনেকেই মনে করে বন্ধ হয়ে গেলে প্রেগন্যান্ট হয়ে গেল কিনা ? গর্ভবতী হওয়া ছাড়াও মাসিক মিস হতে পারে । সাধারণত বিভিন্ন মাসিক বন্ধ হওয়ার ২ সপ্তাহ পরে প্রেগনেন্সি বোঝা যায় ।
অনেকের হয়তো এর আগেই বোঝা যেতে পারে প্রেগনেন্সি বোঝার জন্য ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ সময় লাগে । পিরিয়ড বন্ধ আগে গর্ভধারণ হওয়ার কিছু লক্ষণ রয়েছে সেগুলো হলো মর্নিং সিকনেস । মর্নিং সিকনেস কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়। এছাড়া এটি রাত্রেও হতে পারে । মর্নিং সিকনেস হলে প্রচন্ড মাথা ঘুরায় এবং শরীরের দুর্বলতা অনুভব করে। মর্নিং সিকনেস বোঝা যায় গর্বস্থায় এক মাসের মধ্যে । গর্ভধারণের চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর বমি শুরু হয় ।
চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নারীদের শরীরে অ্যাস্ট্রোজেন ও প্রোজেসটন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং তখন বমি বমি ভাব ও প্রচন্ড মাথা ঘুরায় । এসময় স্তনে ব্যথা , এবং নরম হয়ে যাওয়া , স্তন ফুলে যাওয়া , ভারী হয়ে যাওয়া , স্তনে প্রচন্ড ব্যথা হয় এবং ভারী অনুভব হয় এ সময় শরীরের জ্বর আসে। গর্ভধারণের সময় মুড সুইং এবং প্রচন্ড মাথা ঘোরায় সেজন্য সবসময় বিরক্ত বোধ হয় । ক্ষুধা বেড়ে যায় এবং অপছন্দনীয় খাবার গুলো পছন্দনীয় হয়ে যায় ।
গর্ভধারনের আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে অতিরিক্ত প্রস্রাব হওয়া । সহবাসের কত দিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হয় , এ বিষয়ে আমাদের সকলেরই ধারণা থাকা প্রয়োজন । সহবাসের পর পিরিয়ডের কমপক্ষে দশ দিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হবে কারণ পিরিয়ড মিস হওয়ার আগে গর্ভধারণের লক্ষণ বোঝা যায় না । পিরিয়ড মিস হওয়ার কমপক্ষে দিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হবে। যদি প্রথম বা টেস্ট করার পরে নেগেটিভ আসে তাহলে আবার পাঁচ দিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হবে।
সাধারণত পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার প্রথম দিন থেকে ৩৫থেকে ৪অদিন অপেক্ষা করুন এবং ৪০ দিন পর প্রথম ইউরিন টেস্ট করলে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়। এই সময় ইউরিন সবচেয়ে বেশি ঘনীভূত থাকে এবং ইউরিন এইচসিজি উপস্থিতি অনেক ভালোভাবে বুঝা যায় কিন্তু পিরিয়ডের ডেট আসার আগেই যদি আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে পানি খেয়ে আপনি যদি পেগনেন্সি টেস্ট করেন তাহলে প্রেগনেন্সি নেগেটিভ আসা সম্ভাবনা বেশি থাকে । পিরিয়ড মিস হওয়ার দুই সপ্তাহ পর স্টিক দিয়ে টেস্ট করলে আপনি আপনার প্রেগনেন্সি বুঝতে পারবেন।
মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
আজকের আর্টিকেল দিতে আমরা আলোচনা করব মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিনা আসলে এটি আমাদের একটা ধারণা মাত্র মাসিক না হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকে তারপরেও মাসিক মাসিক না হলেও প্রেগনেন্সি সবচেয়ে বড় চিহ্ন বলে ধরে নেওয়া হয় সাধারণত পিরিয়ড চক্র ২৪ থেক ৩৮ টি দিনের মধ্যে হয়ে থাকে আর সেই সময় যদি কোন মহিলার পিরিয়ড না হয়ে থাকে তাহলে ধরে নেওয়া হতে পারে গর্ভধারণের সংকেত দিচ্ছে । মাসিক বন্ধ হওয়ার পরে পরীক্ষা করলেই বোঝা যাবে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি নাই ।
দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায়
নিয়মিত পিরিয়ড চালু রাখার জন্য আমরা ঘরোয়াভাবে বিভিন্ন বইয়ের মাধ্যমে দ্রুত মাসিক হওয়ার ব্যবস্থা করতে পারি সেই খাবার গুলো হল তেতুল , মালটা , জলপাই , তাছাড়া আরো খাবার রয়েছে যেগুলো দ্রুত মাসিক হওয়ার জন্য কাজ করে সেই খাবারগুলো হচ্ছে আদা , মেথি , মৌরি , শারীরিক ব্যায়াম মানসিক চাপ মুক্ত থাকা , এই কাজগুলো করলে এবং ব্যায়াম করার ফলে দ্রুত মাসিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।
পিরিয়ড দেরিতে হলে করনীয়
পিরিয়ড সাধারণত মেয়েদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হয়ে থাকে যেটাই ২৮ থেকে ৩৪ দিন মধ্যে হয়ে থাকে । কিন্তু যদি এ সময়ের মধ্যে না হয় তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে এবং ঔষধ গ্রহণ করতে হবে । আর এ সময় করণীয় হলো ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে এবং আলট্রাসনোগ্রাফি করে দেখতে হবে যে সে প্রেগনেন্সি কিনা অনেক সময় হরমোন জনিত কারণেও পিরিয়ড দেরিতে হতে পারে। দেরিতে পিরিয়ড হলে অনেক সময় পেরিস্টুডেন্ট থেরাপি দেওয়া হয় ।
ট্যাবলেট ইথিনর , নরমেনস তিনটা করে ট্যাবলেট সাত দিন গ্রহণ করার ফলে সঠিকভাবে পিরিয়ড হয় । আর যদি তা না হয় তাহলে তিন মাস পরে থেরাপি দেওয়া হয় । আবার নোডস ওসিপি পিল গ্রহণ করার ফলেও পিরিয়ডয়ে সমস্যা হয়
মাসিক বন্ধ হলে কি সহবাস করা যায়
আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা আলোচনা করব মাসিক বন্ধ হলে কি সহবাস করা যায় এ বিষয়ে সম্পর্কে । আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে আপনিও বুঝতে পারবেন যে মাসিক বন্ধ হওয়ার কতদিন পর সহবাস করা যায় এ বিষয়ে সম্পর্কে ।
সাধারণত মহিলাদের তিন থেকে দশ দিনের মধ্যে মাসিক হয়ে থাকে এর মত অবস্থায় ১০ দিন পর অর্থাৎ মাসিক হওয়ার শেষে দিন অর্থাৎ ১১ দিনের দিন থেকে সহবাস করা যায় । হাদিসের ভাষায় কোন নারীর যখন মাসিক হয় তখন তার নামাজ পড়া বন্ধ হয়ে যায় যখন সে নামাজ পড়ার যোগ্য হয়ে ওঠে তখন থেকে সহবাস করা যায়
কত দিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয়
আমাদের সবার মনে কম বেশি এই প্রশ্ন জেগেই থাকে কতদিন মাসিক না হলে তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কতদিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয় সেই সব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত । সাধারণত৯০% মহিলাদের লক্ষণ প্রকাশ পেতে চার মাস সময় লেগে যায়। তবে মাসিক মিস হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে স্ট্রিপ দিয়ে পরীক্ষা করলে পেগনেন্সি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় ।
সবচেয়ে কাজ করি উপায় হল মন্ত্র পরীক্ষা করার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া স্ট্রিপ দিয়ে পরীক্ষা করলে অনেক সময় ভুল ফলাফল দেখাতে পারে।পিরিয়ড বন্ধ আগে গর্ভধারণ হওয়ার কিছু লক্ষণ রয়েছে সেগুলো হলো মর্নিং সিকনেস । মর্নিং সিকনেস কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়। এছাড়া এটি রাত্রেও হতে পারে ।
মর্নিং সিকনেস হলে প্রচন্ড মাথা ঘুরায় এবং শরীরের দুর্বলতা অনুভব করে। মর্নিং সিকনেস বোঝা যায় গর্বস্থায় এক মাসের মধ্যে । গর্ভধারণের চার থেকে ছয় সপ্তাহ পর বমি শুরু হয় । চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নারীদের শরীরে অ্যাস্ট্রোজেন ও প্রোজেসটন হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায় এবং তখন বমি বমি ভাব ও প্রচন্ড মাথা ঘুরায় ।
এসময় স্তনে ব্যথা , এবং নরম হয়ে যাওয়া , স্তন ফুলে যাওয়া , ভারী হয়ে যাওয়া , স্তনে প্রচন্ড ব্যথা হয় এবং ভারী অনুভব হয় এ সময় শরীরের জ্বর আসে। গর্ভধারণের সময় মুড সুইং এবং প্রচন্ড মাথা ঘোরায় সেজন্য সবসময় বিরক্ত বোধ হয় । ক্ষুধা বেড়ে যায় এবং অপছন্দনীয় খাবার গুলো পছন্দনীয় হয়ে যায় । গর্ভধারনের আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে অতিরিক্ত প্রস্রাব হওয়া ।
সহবাসের কত দিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে হয় , এ বিষয়ে আমাদের সকলেরই ধারণা থাকা প্রয়োজন । তাহলে আজকের পোস্টটি পড়ে আপনি বুঝতে পারলেন কতদিন মাসিক না হলে গর্ভবতী হয় ।
মাসিক নিয়মিত করার ট্যাবলেট
আসলে মাসিক হলো একটি সম্পূর্ণরূপী প্রাকৃতিক উপায় যাতে মানুষের কোন হাত নেই। মাসিক না হলে ওষুধ সেবন করে অর্থাৎ কৃত্রিম উপায়ে মাসিক ঘটনার বন্ধ করার বিভিন্ন স্থায়ী সমাধান রয়েছে। তবে কোনোভাবেই যদি মাসিক না হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহন করতে হবে । এমন কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো গ্রহন করার ফলে ও নিয়মিত মাসিক হওয়ার জন্য কাজ করে সে ট্যাবলেট গুলোর নাম নিচে বিস্তারিত বলা হলো
- Normens কোম্পানির নাম Renata ৬ টাকা পিস
- Etihnor কোম্পানির নাম Eskayef ৫ টাকা পিস
- Feminor কোম্পানির নাম Acme ৫টাকা পিস
- Menoral কোম্পানির নাম Square ৬.৫০টাকা পিস
- Mensil Nকোম্পানির নাম HealthCare ৭.৫০ টাকা পিস
- Remens কোম্পানির নাম Populer ৫ টাকা পিস
- Menogia কোম্পানির নাম ACI ৬ টাকা পিস
- Norcolut কোম্পানির নাম City Overseas ৭.২৫ টাকা পিস
- Norestin কোম্পানির নাম Nuvista →৬.৮৪ টাকা পিস
- Noteron কোম্পানির নাম Incepta →৫.৫ টাকা পিস
উপরের ট্যাবলেট গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি ডাক্তারের পরামর্শমতো গ্রহণ করলে আপনি আপনার রক্তের সমস্যা সমাধান পাবেন সেজন্য একটি করে ট্যাবলেট তিনবেলা ৫ থেকে ৭ দিন গ্রহণ করলে আপনি আপনার সমস্যার সমাধান পাবেন এবং আপনি আপনার রক্তে মুক্তি পাবেন
মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ
সাধারণত যে সকল কারণে মেয়েদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায় সেগুলো হলঃ অতিরিক্ত চিন্তা, পরিশ্রম , দুর্বলতা , জীবনযাত্রায় বড় কোনো পরিবর্তন এইসব কারণে মাসিক নাও হতে পারে।আরও কিছু কারণ রয়েছে সেগুলো হল বয়স জনিত কারণ , গর্ববস্থায , কম ওজন , ফ্রাইব্রেয়েড়স , আর্লি পেগনেন্সি লস, হরমোনাল বার্থ কন্ট্রোল , একটু পরে আসছি শারীরিক ত্রুটির কারণেও পিরিয়ডে অনিয়মিত হতে পারে এবং মাসিক বন্ধ হতে পারে ।
- অতিরিক্ত চিন্তাঃ কোন অবস্থায় আপনি যদি অতিরিক্ত চিন্তা করেন এবং টেনশনে থাকেন তাহলে মাসিক নাও হতে পারে ।
- পরিশ্রমঃ আপনি অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাহলে আপনার শরীরের কোষগুলো ক্লান্ত হয়ে থাকে এবং আপনার শরীরের দুর্বল হয়ে যায় তখন মাসিক বন্ধ হয়ে যায় ।
- দুর্বলতাঃ আপনি যদি শারীরিক অসুস্থ থাকেন অর্থাৎ দুর্বল থাকেন তখন আপনার মাসিক বন্ধ হয়ে থাকে ।
- বয়স জনিত করনঃ অল্প বয়সী এবং মধ্যবয়সী নারীদের মধ্যে অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে । এর পেছনের কারণটি হল হরমোন ।
- আর্লি পেগনেন্সি লসঃ একজন নারী যদি গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন কিন্তু তা জানতেন না , তারপর নিজে থেকেই তার গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে এই ঘটনাকে সাধারণত মাসিকের সাথে তুলনা করা হয় । আর এই সময় মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
- ওজন কমঃ ওজন কম হলে নিয়মিত মাসিক নাও হতে পারে আবার কিছুদিনের জন্য বন্ধ হয়ে থাকতে পারে
- ফাইব্রেয়েড়সঃ অনেক মহিলা আছে জানি টিউমারের বৃদ্ধি হয় তাকে ফাইব্রায়েডস বলা হয়। এগুলো মাসিকের স্বাভাবিক চক্রকে বাধা দিতে পারে ।
- হরমোনাল বার্থ কন্ট্রোলঃ কোন মেয়ে যদি বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক করে এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে যেমন পিল, প্যাচ , ইনজেকশন , আইইউডি , এগুলো ব্যবহার করলে তিনি নিয়মিত মাসিক বন্ধ হয়ে যায় ।
মাসিক না হলে কি সমস্যা হয়
মাসিক মেয়েদের কাছে একটি পরিচিত বিষয়। প্রত্যেক নারীরই সাধারণ মাসে একবার হলেও মাসিক হয়। মাসিক নিয়মিত হওয়া ভালো । তবে বিভিন্ন কারণে মাসিক হওয়া থেকে ব্যাঘাত ঘটে আবার বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে হতে পারে। বিশেষ করে অনেক অবিবাহিত মেয়ে রয়েছে যাদের মাসিক অনিয়মিত তাদের মাতৃত্বের ঝুঁকি রয়েছে এসব মেয়েদের অনেক সময় ইচ্ছে করলে গর্ভধারণ করতে পারে না তাদের বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বেড়ে যায় ।
বিশেষ করে কিশোরীদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। তখন এ বিষয় নিয়ে কিশোরীরা দুশ্চিন্তায় ভোগেন । নিয়মিত ঋতুচক্র সাধারণত প্রত্যেক মাসে ২৮ দিনের মধ্যে হয়ে থাকে এবং ৭ দিন ধরে স্থায়ী থাকে । তাহলে আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি জানতে পারলেন মাসিক না হলে কি কি সমস্যা হয়। তাহলে আপনার যদি নিয়মিত মাসিক না হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন এবং চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং করলে আপনি আপনার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন ।
অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ
বিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়া সাধারণত গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ । কিন্তু অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া অনেক বড় সমস্যা । যে সমস্যায় তারা ভোগ এবং তারা মানসিক চিন্তায় থাকে তখন তারা বুঝতে পারে না তারা কি করবে । অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া আসলে এটা কোন রোগ নয় ।
শারীরিক এবং বিভিন্ন কারণে অবিবাহিত মেয়েদেরও মাসিক বন্ধ হতে পারে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা হলো । অনিয়মিত মাসিক হওয়া এটি সাধারন অবিবাহিত মেয়েদের একটি বিষয় হতে পারে । অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার মূল কারণ তার জীবনধারা পরিবর্তন করতে হবে ।
সেতাবড়ি নামক একটি ট্যাবলেট যেটা হল ফুট ফাটলিম্যট এর কোন সাইড ইফেক্ট নাই এই tablet টি নিয়মিত ছয় মাস ব্যবহার করলে আপনার মাসিক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এবং নিয়মিত মাসিক হবে। আর যে সকল কারণে অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হয়ে যায় আলোচনা করা হলো।
- অতিরিক্ত চিন্তাঃ কোন অবস্থায় আপনি যদি অতিরিক্ত চিন্তা করেন এবং টেনশনে থাকেন তাহলে মাসিক নাও হতে পারে ।
- পরিশ্রমঃ আপনি অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাহলে আপনার শরীরের কোষগুলো ক্লান্ত হয়ে থাকে এবং আপনার শরীরের দুর্বল হয়ে যায় তখন মাসিক বন্ধ হয়ে যায় ।
- দুর্বলতাঃ আপনি যদি শারীরিক অসুস্থ থাকেন অর্থাৎ দুর্বল থাকেন তখন আপনার মাসিক বন্ধ হয়ে থাকে ।
- বয়স জনিত করনঃ অল্প বয়সী এবং মধ্যবয়সী নারীদের মধ্যে অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে । এর পেছনের কারণটি হল হরমোন ।
- আর্লি পেগনেন্সি লসঃ একজন নারী যদি গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন কিন্তু তা জানতেন না , তারপর নিজে থেকেই তার গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে এই ঘটনাকে সাধারণত মাসিকের সাথে তুলনা করা হয় । আর এই সময় মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
- ওজন কমঃ ওজন কম হলে নিয়মিত মাসিক নাও হতে পারে আবার কিছুদিনের জন্য বন্ধ হয়ে থাকতে পারে
- ফাইব্রেয়েড়সঃ অনেক মহিলা আছে জানি টিউমারের বৃদ্ধি হয় তাকে ফাইব্রায়েডস বলা হয়। এগুলো মাসিকের স্বাভাবিক চক্রকে বাধা দিতে পারে ।
- হরমোনাল বার্থ কন্ট্রোলঃ কোন মেয়ে যদি বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক করে এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে যেমন পিল, প্যাচ , ইনজেকশন , আইইউডি , এগুলো ব্যবহার করলে তিনি নিয়মিত মাসিক বন্ধ হয়ে যায় ।
বিয়ের আগে যদি কোন অবিবাহিত মেয়ে কোন শারীরিক সম্পর্ক করে এবং বিভিন্ন ধরনের পিল গ্রহণ করে তাহলে মাসিক বন্ধ হয়ে সম্ভাবনা থাকে
লেখকের শেষ কথাঃ অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ ২০২৩ সম্পর্কে
আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা মন দিয়ে পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হওয়ার কারণ সম্পর্কে । এবং অবিবাহিত মেয়েদের মাসিক বন্ধ হলে কি করতে হবে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে। আজকে আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন । আর আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে কখনোই ভুলবেন না ।
তৌহিদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url