সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় ২০২৩ বিস্তারিত জানুন ।
প্রিয় পাঠক আসসালামুআলালাইকুম আজকে আমরা আলোচনা করবো সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় ২০২৩ এই বিষয় সম্পর্কে । বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতি বছর অনেক মানুষ বিদেশ যাই কিন্ত আপনারা জানেন না সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়। আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় ২০২৩ সেই বিষয় সম্পর্কে । আপনারা যারা সরকারিভাবে বিদেশ যেতে চান তাদের জন্য আমাদের এই আজকের আর্টিকেলেটি ।
আপনারা যারা জানতে চান সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় জানতে চাচ্ছেন তারা আজকের আর্টিকেলে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন ।তাহলে আপনারা খুব সহজে বিদেশ যেতে পারবেন ।
পোস্টসূচি পত্রঃসরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় ২০২৩ বিস্তারিত জানুন ।
- সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কিভাবে এপ্লাই করতে হবে?
- বিদেশে যেতে কি কি লাগে?
- বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি
- বাংলাদেশ থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
- কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায়
- বর্তমানে কোন দেশের ভিসা চালু আছে
সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কিভাবে এপ্লাই করতে হবে?
আপনারা যারা কোন প্রকার দালাল ছাড়া বিদেশ যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আমাদের এই আজকের এই আর্টিকেলটি । আমদের দেশের ৬৪ জেলা থাকে আগ্রাহী দক্ষ , স্বল্প দক্ষ , পেশাজীবী নারী-পুরুষ উভয়েই সরকারিভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে । অনলাইনে নিবন্ধন করে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়া যাই । জনসংখ্যা কর্মসংস্থান ও পরিসংখ্যান ব্যারোর এক বিজ্ঞপ্তি এই তথ্য প্রকাশ করা হয় ।
সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য দেশের মানুষের কাছে ইস্তেহার ঘোষনা করে প্রতিটি উপজেলা থেকে ১০০০ জন করে সরকারিভাবে বিদেশ পাঠাবে । বিজ্ঞপ্তিতে আরো প্রকাশ করা হয়েছিল যারা বিদেশ যাবে তাদের যোগ্যতার কথা যারা বিদেশ যাবেপুরুষের বয়স সর্বনিম্ন ১৮ বছর হতে হবে ।নারীদের বয়সসিমা ২৫-৪৫ বছর হতে হবে ।
বিদেশ যাওয়ার জন্য আগ্রহী কর্মীদেবে ছয় মাসের বৈধ পাসপোর্ট থাকা লাগবে । এবং রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্যের জন্য নিজস্ব মোবাইল ফোন লাগবে । প্রার্থীকে অবশ্যই লিখতে এবং পড়তে জানতে হবে । আগ্রহী প্রার্থীদেরকে রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে সরকারিভাবে সংশ্লিষ্ট জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস কিংবা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ সম্পাদন করা হবে ।
বিদেশে যেতে কি কি লাগে?
আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করব বিদেশে যেতে কি কি লাগে?আপনারা যারা বিদেশ যাওয়ার জন্য আগ্রহী তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ । বিদেশ যাওয়ার পূর্বে নিশ্চিত হতে হবে যে কোন কোন কাগজ পত্রের প্রয়োজন হয় । আজকে আর্টিকেলে আমরা সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করব । বিদেশ যেতে যে কাগজগুলো লাগে সে কাগজগুলো সম্পর্কে কিছু বর্ণনা করা হলো ।
- পাসপোর্ট
- ভিসা সংগ্রহ এবং যাচাই
- মেডিকেল রিপোর্ট চেক
- ব্যাংক একাউন্ট
- চাকরির চুক্তি পত্র
- ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড
- প্লেনের টিকিট কাটা
পাসপোর্টঃপাসপোর্ট হল সরকারে দেয়া জাতীয় পরিচয় পত্র যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট ব্যক্তি জাতীয়তার পরিচয় প্রদান করার পাশাপাশি তাকে দেশের বাহিরে যাওয়ার জন্য অনুমতি প্রদান করে। পাসপোর্ট হল সরকার ভিত্তিক পরিচালিত একটি পরিচয় পত্র । একটি পাসপোর্টে সাধারণত যে সকল জিনিস থাকে সেগুলো হলঃ পাসপোর্ট কারীর নাম , পাসপোর্ট কারীর জন্ম তারিখ ও স্থান , ছবি , স্বাক্ষর , এবং অন্যান্য চিহ্নিতকরণের তথ্য । আরেকটি পাসপোর্ট এর নির্দিষ্টকালীন মেয়াদ দেওয়া থাকে ।
ভিসা সংগ্রহ এবং যাচাইঃ ভিসা হল একজন মানুষ সে দেশে যেতে চাই সেই দেশের সরকার অনুমতি দেওয়াকে ভিসা বলে । সাধারণত পাসপোর্ট এর একটি পৃষ্ঠায় দেওয়া হয় । সে সাধারণত বিদেশ যাওয়ার জন্য দেওয়া হয় । ভিসার একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ এবং নির্দিষ্ট সময় থাকে । কোন ভিসায় যদি কাজ করার জন্য অনুমতি দেয়া হয় তখন তাকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বলে আবার অনেক ভিসা পড়াশোনার জন্য দেয়া হয় এটাকে বলা হয় স্টুডেন্ট ভিসা এবং কোন ভিসা চিকিৎসার জন্য দেওয়া হয় তাহল তার ও নির্দষ্ট মেয়াদ থাকে । বিশা যাচাই করার জন্য অভিবাসন ইচ্ছুক ব্যক্তির বাংলাদেশে অবস্থিত সেই দেশের দূরদর্শী অথবা বিএমইতে খোঁজ নিতে হবে অথবা অনলাইনের মাধ্যমে যাচাই করে দেখতে হবে ।
মেডিকেল রিপোর্ট চেক ঃ চাকরি ,পড়াশোনা অথবা চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার আগে অবশ্যই মেডিকেল চেকআপ করার প্রয়োজন হয় । মেডিকেল চেক করার পরে অবশ্যই ব্যক্তিকে মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। আপনি যে দেশে যেতে চান সেই দেশের ভিসা অনুযায়ী আপনাকে মেডিকেল চেক করতে হবে । মেডিকেল চেকের কাগজ ছাড়া আপনি কখনোই বিদেশ যাইতে পারবেন না ,
ব্যাংক একাউন্টঃ বিদেশ থেকে বৈধ ভাবে টাকা পাঠানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করতে হবে । সে ক্ষেত্রে আপনি দুইটি ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন এটি আপনার নিজের নামে এবং আরেকটা আপনার পরিবারের সদস্য নামে ।
চাকরির চুক্তি পত্রঃ কর্মজীবী হিসেবে বিদেশ যাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে চাকরি চুক্তিপত্র নিয়ে এটা আসল কিনা পরীক্ষা করে দেখতে হবে । চুক্তিপত্রে উল্লেখিত বেতন ভাতা এবং অন্যান্য শর্ত সুবিধামত হলে স্বাক্ষর করে চুক্তিপত্র বুঝে নিতে হবে । চুক্তিপত্র ছাড়া আপনি যদি কোন দেশে যান এবং সে দেশে কাজ করেন তাহলে আপনার সাথে নিয়োগকর্তার খারাপ আচরণ করবে এবং আপনাকে দিয়ে নিয়মের বাইরে অনেক কাজ করে নিবে ।
ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড ঃ কর্মজীবী হিসেবে বিদেশ যেতে আপনাকে অবশ্যই বাধ্যতামূলকভাবে বি এম ই সি থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে । আপনি বাংলাদেশ থেকে অন্য যে দেশে চাকরির জন্য যেতে চাচ্ছেন সে দেশের সরকারের স্বীকৃতি হচ্ছে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড ।
প্লেনের টিকিট কাটাঃ সাধারণত বিদেশ যাওয়ার জন্য অবশ্যই প্লেনের টিকিট কাটতে হবে । কারণ প্লেনের টিকিট ছাড়া আপনি বিদেশ যেতে পারবেন না । আর টিকিট কেনার সময় অবশ্যই দেখে নিবেন তারিখ এবং টিকিটের সময় ঠিক আছে কিনা
বিদেশ যাওয়ার এজেন্সি
বাংলাদেশ থেকে সরকারি ভাবে বিদেশ যাওয়ার জন্য কিছু বিশ্বস্ত এজেন্সি রয়েছে । আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব বাংলাদেশ থেকে বিদেশ যাওয়ার জন্য এজেন্সি কোনগুলো। আর আপনারা যদি না জেনে থাকেন বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়ার এজেন্সি গুলো কোনগুলো তাহলে আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।
আমাদের দেশের অনেক মানুষ রয়েছে যারা বিদেশ যাওয়ার জন্য দালালের সাহায্য নিয়ে বিদেশ যায় । সেজন্য অনেক সময় দেখা যায় দালালেরা টাকা মেরে দেয় । এজন্য আমার নিজের মতামত হলো এই যে আপনারা দালালের সাহায্য না নিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্বস্ত এজেন্সি রয়েছে সেগুলোর সাথে যোগাযোগ করে ।
কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায়
বাংলাদেশ দারিদ্রতম একটি দেশ । এ দেশের জনসংখ্যা তুলনায় কর্মসংস্থানের সংখ্যা কম সেজন্য আমাদের দেশ থেকে প্রতিবার অনেক মানুষ বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে । অন্যের দেশের এই বৃহত্তম সংখ্যাটি আমরা জনশক্তিতে রূপান্তরিত করে কাজে লাগাতে পারি। প্রতিবছর বৈদেশিক মুজা অর্জনের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের বৃদ্ধি পাচ্ছে । সেই জন্য আজকে আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব কম টাকায় কোন কোন দেশ পাওয়া যায় এ বিষয় নিয়ে ।
বাংলাদেশ কম টাকায় যেসব দেশে যাওয়া যায় সেগুলো হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশ । বাংলাদেশ থেকে নিকটে এবং গরিব সকল দেশে আপনি কম খরচে যেতে পারবেন এবং অনেক দেশ রয়েছে যেগুলোতে শুধু পাসপোর্ট এর মাধ্যমে আপনি দিতে পারবেন কোন ভিসার প্রয়োজন হয় না । সে দেশগুলোর ইউরোপের মধ্যে দেশগুলো হলো পোল্যান্ড , ডেনমার্ক , নেদারল্যান্ড , সুইজারল্যান্ড , অস্ট্রিয়া , পর্তুগাল , মালটা । এই সকল দেশে আপনি কম খরচে যেতে পারবেন ।
বর্তমানে কোন দেশের ভিসা চালু আছে
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যে সকল দেশের ভিসা চালু রয়েছে সে সকল দেশের ভিসা সম্পর্কে আজকে আলোচনা করব । আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন বাংলাদেশ থেকে সরকারি ভাবে কোন কোন দেশে বর্তমান বাংলাদেশ পৃথিবীতে যাওয়া যায় সেই বিষয়ে সেজন্য আজকের আর্টিকেলটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে । বর্তমানে পৃথিবীতে ২১৪ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে ৮৪ টি দেশের হিসাব ভালো আছে ।
আপনি চাইলে এবং আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং দক্ষতা থাকলে আপনি বর্তমানে যে ৮৪ দেশের ভিসা চালু রয়েছে আপনি সেই সকল দেশে এমন করতে পারবেন সেটা গ্রহণের জন্য যেতে পারবেন এবং চাকরির জন্য যেতে পারবেন । বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে যে সকল দেশের ভিসা চালু রয়েছে সে দেশগুলোর নাম নিচে দেওয়া হল" সিঙ্গাপুর , মালয়েশিয়া , পর্তুগাল , ফ্রান্স , লাইবেরিয়া , পোল্যান্ড , যাইরে , এলেঙ্গা , মরিশাস , লিথুনিয়া , নেদারল্যান্ড , সার্বিয়া , ডেনমার্ক , যুক্তরাজ্য , মালি , তিউনিশিয়া , ক্রোয়েশিয়া , অস্ট্রিয়া , সেনেগাল , মিশর , কারাজুস , এছাড়া অনেক অনেকগুলো দেশ রয়েছে যেগুলোতে বর্তমানে ভিসা চালু রয়েছে ।
লেখকের শেষ কথাঃ সরকারিভাবে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়
বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অনেক মানুষ বিদেশ যায় কেউ সরকারি ভাবে কেউবা বেসরকারি হয়ে যায় আবার অনেকে রয়েছে অনেকের রয়েছে দালালের সাহায্য বিদেশ যাই । আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা বিদেশ যাওয়ার সকল তথ্য নিয়ে আলোচনা করেছি । আজকের টি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের বন্ধুরা যারা বিদেশ যাবে তাদের অবশ্যই এই সকল বিষয়গুলো নিয়ে সত্যচেতন থাকতে বলবেন ।
তৌহিদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url