আমার সম্পর্কে



আসসালামু আলাইকুম আমার নাম মোঃতৌহিদ উদ্দিন , বাবার নাম মোঃ রেজাউল ইসলাম , মায়ের নাম তহিমা বেগম । আমি আমার পরিবারের একমাত্র সন্তান আমার কোন ভাই বোন নাই। আমার বাবা কৃষি কাজ করে।এবং আমার মা একজন গৃহিণী। আমাদের পরিবারটি সুখী পরিবার। আমাদের জীবনে চলার পথে অনেক সময় অনেক ঘটনা ঘটে থাকে কিছু কিছু ঘটনা রয়েছে যেগুলো আমাদের কখনো ভুলার মত নয় । কিছু কিছু ঘটনা রয়েছে যেগুলো আমাদের নিজেদেরই মনে হলে সময় সময় হাসি পায় এবং কষ্ট হয় । এমন একটি ঘটনা আমি আজকে আপনাদের বলব ।


আজকে যে ঘটনাটি বলবো সে ঘটনাটি ২০১৯ সালের। ২০১৯ সাল তখন আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। তখনআমাদের কলেজ থেকে শিক্ষা সফরে যাওয়ার জন্য একটা দিন ঠিক করা হয়েছিল ২১ ফেব্রুয়ারি । পিকনিকে চাদা দেওয়ার শেষ তো ২ দিন আগে আমি আর আমার এক বন্ধু কেনাকাটা করার জন্য প্রথমে গোপালপুর গেলাম । তারপর দুইজন একই রকমের জামা কেনার জন্য দেখলাম । গোপালপুর বাজারে একই রকমের জামা হলো না।

তারপর আমরা দুই বন্ধু লালপুর বাজারে গিয়ে দেখলাম সেখানে অনেক ঘুরাঘুরি করে একই রকমের জামা খুঁজে পেলাম না। তারপর দুই বন্ধু অনেক চিন্তা ভাবনা করে ভাবলাম  কি করা যায় । আমরা দুই বন্ধু সাইকেল নিয়ে চলে গেলাম লালপুর থেকে আরামবাড়ি । দুই বন্ধু সাইকেল চালিয়ে যাবার পরে ভাবলাম এখানে নিশ্চয়ই পাবো কিন্তু এখানেও পাইলাম না অনেক খারাপ লাগছিল এবার ভাবছি ঈশ্বরদী বাজারে চলে যাব।

তারপর আবারো দুই বন্ধু সাইকেল চালিয়ে আরমবাড়ি থেকে ঈশ্বরদীর দিকে যাইতে লাগলাম । যেহেতু দুই বন্ধুর একই রকমের জামা কেনা লাগবে এবং একই রকম জিনিস কিনতে হবে । তখন সাড়ে আটটা বাজে তখন আমরা দুজন সাইকেল নিয়ে ঈশ্বরদী বাজারে পৌঁছাইলাম তারপর এখন সাইকেলটাকে তো একটা জায়গায় রাখা প্রয়োজন সেজন্য আমরা দুজন ভাবলাম যে কোন একটা জায়গায় রাখব যেখানে ক্যামেরা আছে  । তারপর দুজন মনির প্লাজার সামনে সাইকেল রেখে চলে গেলাম।

 অনেক ঘোরাঘুরি করে যখন একই রকমের জিনিস হলো না তখন দুইজনে আলাদা আলাদা জিনিস  কিনে সাইকেলের কাছে যখন আসলাম তখন দেখি যে সাইকেল সেখানে নেই ।  এখন দুজন অনেক চিন্তা করতেছি  আর দুইজনের অনেক কষ্ট লাগছে যে সাইকেলটা এখানে রেখেছিলাম কই গেল কি হলো যখন খুঁজে পাচ্ছিলাম না । তখন একজন জিজ্ঞেস করলাম , মামা মামা এখানে একটা সাইকেল ছিল দেখেছেন মামা বলল এভাবে কি যেখানে সেখানে সাইকেল রেখে চলে যায় বললাম  । মামা আপনি কি দেখেছেন সাইকেলটা কোথায় ।

 বলল তুমি ওখানে যাও গিয়ে জিজ্ঞেস করো । তখন আমরা আমরা দুজন গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম ভাইয়া এখানে একটা সাইকেল ছিল সেটা কোথায় আপনি বলতে পারবেন । আমাদেরকে জিজ্ঞেস করল তোমাদের নাম কি বাসা কোথায় কি কর বলার পরে বলল এভাবে কি মাঝখানে কেউ সাইকেল রেখে চলে যায় । আর সাইকেলের তলাও দেয়নি। তোমাদের সাইকেল তো এখন হারিয়ে গিয়েছে কি করবে । আমরা  বললাম যে আমরা লালপুর থেকে এসেছি কেনাকাটা করার জন্য কিন্তু এইভাবে সাইকেলটা রেখে যাব আর হারিয়ে যাবে বুঝতে পারিনি ।

তারপরে ভাই আমাদের চেহারার অবস্থা এবং কথা বলার ভাষা দেখে বুঝতে পেরে আমাদেরকে সাইকেলের চাবিটা দিয়ে দিল । আমরা দুজন অনেক টেনশনে ছিলাম কি করবো না করবো কিছু বুঝতে পারছিলাম না ।পরে সাইকেল পাওয়ার পরে কেমন যেন হয়েছিলাম। তারপরে তারপরে দুইজন সাইকেল নিয়ে ঈশ্বরদী প্ল্যাটফর্ম পার হয়ে যখন আরামবাড়ি রাস্তায় ছিলাম দুইজন আরমবাড়ি এসে সিঙ্গারা খাইলাম খাওয়া-দাওয়া করে দুইজন দশটার দিকে বাড়িতে আসলাম। ওই দিনটা আমাদের দুই বন্ধুর জন্য খুব হাসির এবং কষ্টের দিন ছিল আর। আমি তো আপনাদের আমার ওই বন্ধুর নামটাই বলিনি তাহলে ওই বন্ধুর নাম আব্দুল্লাহ আল মামুন সে এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের পড়ে ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

তৌহিদ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url